রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিচারে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এজন্য তদন্ত কর্মকর্তাও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শিগগিরই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। নিয়োগ দেয়া হয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। আইনের মধ্যেই রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রস্তুত করা হবে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত ৫ আক্টেবর চিফ প্রসিকিউটর আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেন। তার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ গত ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আওয়ামী লীগসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে দায়ী।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরুর জন্য যথাযথ তদন্ত প্রয়োজন।
এদিকে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে অনেকগুলো ঘটনা ঘটবে বলে। তিনি বলেন, এ সপ্তাহের মধ্যে বেশ অনেকগুলো ঘটনা ঘটবে। আজকে এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাচ্ছি না।
তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আলোচিত গুমের কয়েকটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দাখিল করা হবে। বিচারে দেরি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তদন্তের জন্য যে সময় প্রয়োজন ছিল, তা শেষ হয়েছে। এখন একের পর এক মামলার ফরমাল চার্জ দাখিল করা হচ্ছে। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং অনেক মামলা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তাই জনগণের প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যেই এই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।
ওবায়দুল কাদেরের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব মামলা একসঙ্গে হবে না। ধাপে ধাপে সব মামলা এগোচ্ছে। প্রতিটি মামলাই ম্যাচিউর পর্যায়ে রয়েছে। সময়মতো সবকিছুর ফলাফল পাওয়া যাবে। কেউ দায় এড়িয়ে যাবেন— এমন আশা করা বৃথা। ন্যায়বিচার তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
গুমের মামলার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এগুলো জটিল মামলা। তাই প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় যাচাই করা হচ্ছে। সব মামলা শেষ না হলেও প্রধান কয়েকটির তদন্ত প্রতিবেদন এই সপ্তাহেই দাখিল হবে ইনশাআল্লাহ।
শেখ হাসিনা এ মামলার প্রধান আসামি কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বাকিটা খুব শিগগিরই দেখতে পাবে