প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্বাচনী সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিইসি জানান, ভোট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং নতুন উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। প্রবাসী ভোটারসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য ডিজিটাল পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এদিন সকাল ও বিকেলে দুটি পর্বে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ইসির সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সুশীল সমাজের ২৬ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। পরে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ১৫ থেকে ১৭ জন শিক্ষাবিদের সঙ্গে সংলাপ চলে।
কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পূজার ছুটি শেষে অক্টোবর মাসে নারী নেত্রী, মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হবে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার লক্ষ্যে ইসি কাজ করছে। এর আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিবসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবী প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, বিজিএমইএ পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি, কবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান।
আপনি চাইলে আমি এটিকে আরও ছোট করে সংবাদ সংক্ষেপ আকারে লিখে দিতে পারি। চাইবেন কি?