মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

ডাকসু ভিপি প্রার্থী শামী/মকে নিয়ে বিস্ফো/রক মন্তব্য সাংবা/দিক ইলিয়াস হোসেনের..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ বার পঠিত হয়েছে
মানববন্ধন এক কর্মসূচিতে শামীম হোসেন (লাল বৃত্তের মধ্যে) এবং সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন (ডান)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শামীম হোসেনকে ঘিরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে ইলিয়াস লেখেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি জরিপ হাতে এসেছে। এই জরিপ দুটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘সোচ্চার’-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ন্যারেটিভ’। ‘সোচ্চার’-এর জরিপে অংশ নিয়েছেন ৯৯১ জন শিক্ষার্থী, আর ‘ন্যারেটিভ’-এর জরিপে অংশ নিয়েছেন ৫২৬ জন। উভয় জরিপেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভোট নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। জরিপ অনুযায়ী, ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিতে চান এবং ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বিশ্বাস করেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তবে এখনও অনেকেই তাদের চূড়ান্ত পছন্দ ঠিক করেননি।

ইলিয়াস দাবি করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সাদিক কায়েমের সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন শামীম হোসেন। তিনি বলেন, “৩০ থেকে ৩৪ শতাংশ অনিশ্চিত ভোটারই হতে পারেন গেমচেঞ্জার। যদি শামীম এই ভোটারদের বড় একটি অংশ নিজের পক্ষে নিতে পারেন, তবে ডাকসু নির্বাচনে বড় চমক দেখা যেতে পারে।”

শামীমের আকস্মিক জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইলিয়াস। তিনি লেখেন, “শামীম হঠাৎ করে আলোচনায় চলে আসায় নির্বাচনী মাঠে নানান হিসাব-নিকাশ বদলে যাচ্ছে। তবে তার এই উত্থানের পেছনের রহস্য কী?”

ইলিয়াসের ভাষ্যমতে, ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন একজন মিশুক ও সদালাপী ব্যক্তি, এবং শিক্ষকতাও করেন। শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ায় তিনি অল্প সময়েই পরিচিতি পান। তবে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিতর্কও রয়েছে।

ইলিয়াস দাবি করেন, শামীমের রাজনৈতিক অতীত শুরুতে অস্বীকার করা হলেও পরে তার বাম সংগঠন জাসদ ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাসদ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিভিন্ন মানববন্ধন ও কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। জাসদ সম্পর্কে ইলিয়াস বলেন, এটি সেই দল যারা ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের সব অপকর্মে সহায়তা করেছে।

শামীমের ফেসবুক প্রোফাইলে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পোস্ট না থাকা নিয়ে সমালোচনাও করেন ইলিয়াস। তিনি আরও দাবি করেন, শামীম ছাত্রলীগপন্থী এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এবং সরকারি অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহায়তায় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

ইলিয়াস আরও লেখেন, “শামীমের হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হতে দেওয়া হবে না। অরাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে তিনি শেখ হাসিনার স্বার্থ রক্ষা করতে চান।” তিনি শামীমকে “মীরজাফর” আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

পোস্টের শেষ অংশে ইলিয়াস দাবি করেন, শামীমের স্বতন্ত্র পরিচয়ের পেছনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক এজেন্ডা রয়েছে। তিনি বলেন, “নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন বিসিএলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে শামীমের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রমাণ রয়েছে।” বিভিন্ন মানববন্ধনের ছবিও তুলে ধরেন তিনি।

অবশেষে ইলিয়াস লেখেন, “শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মনে করে, নির্বাচনে মনোযোগ আকর্ষণ করতেই শামীম নিজেকে অরাজনৈতিক দাবি করছেন। দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠের মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেন মীরজাফরদের চিনে রাখতে পারেন, সেটাই প্রত্যাশা।”


আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত, বিশ্লেষণমূলক অথবা নিরপেক্ষ সংস্করণও তৈরি করে দিতে পারি। চাইলে জানান।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর