ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এজিএস (সহকারী সাধারণ সম্পাদক) পদপ্রার্থী তানভীর আল হাদি মায়েদ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) শেষ দিনের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। তিনি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেন এবং নিজের নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেন। এ সময় তিনি ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।
প্রচারণার এক পর্যায়ে তিনি প্রতিরোধ পর্ষদের অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিশেষভাবে, জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসুর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি।
এদিকে, প্রচারণার শেষ দিনে ছাত্রদল সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ প্যানেল পূর্বঘোষিত ইশতেহারকে সামনে রেখে এক শপথ পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রোববার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের সকল প্রার্থী শপথ পাঠে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে, যা পরিচালনা করেন কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা।
শপথ পাঠে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রতিজ্ঞা করেন যে, তারা একটি নিরাপদ, আনন্দময় ও বসবাসযোগ্য ক্যাম্পাস গড়ে তুলবেন। তারা প্রতিশ্রুতি দেন, অতীতের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে চালু হওয়া গণরুম, গেস্টরুম নির্যাতন, জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের বাধ্যবাধকতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের মতো অপসংস্কৃতি আর কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসতে দেওয়া হবে না।
তারা আরও বলেন, যেভাবে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে আন্দোলনের সময় ছাত্রসমাজ বন্দুকের মুখে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, ঠিক সেভাবেই ভবিষ্যতেও যদি গণতন্ত্র, স্বাধীনতা বা জনগণের অধিকার হুমকির মুখে পড়ে, তারা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন—যেমনটি করেছিলেন পূর্বসূরিরা ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে।
প্রয়োজনে আপনি চাইলে এটি সংক্ষিপ্ত বা দীর্ঘতর করে নিতে পারেন।