ভোলায় খুন হওয়া ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সেক্রেটারি মাওলানা আমিনুল হক নোমানীর জানাজা রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা-পূর্ব সমাবেশে প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে হাটখোলা মসজিদের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
জানাজার আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন—বিএনপির জেলা আহ্বায়ক আলহাজ গোলাম নবী আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মাস্টার জাকির হুসাইন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা ইসমাইল ফারুকী, ইসলামী আন্দোলনের ভোলা জেলা নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় আলেম সমাজ, শিক্ষক, সাংবাদিক ও নিহতের পরিবারবর্গ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ভোলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটলেও কোনো ঘটনায় অপরাধীরা গ্রেপ্তার হয়নি। মাওলানা নোমানীকে বাসায় ঢুকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পরও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে পুলিশ সুপারকে অপসারণসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর চর নোয়াবাদ এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন মাওলানা আমিনুল হক নোমানী।
আপনি চাইলে এটিকে সংবাদ শিরোনাম, ফেসবুক পোস্ট বা প্রেস বিজ্ঞপ্তির আকারেও সাজিয়ে দিতে পারি। বলুন কিভাবে দরকার।