সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত হয়েছে
হাইকোর্ট। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ আদেশ দেন আদালত।

শিশির মনির বলেন, বিষয়টির ‍গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা চেম্বার জজ আদালতে হাতে লিখিত আবেদন করেছি। লিখিত আবেদন গ্রহণ করে চেম্বার জজ হাইকোর্ট ডিভিশনের ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশের সিএমপি ফাইল ও শুনানির আগ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ এই মুহূর্তে ডাকসু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এমনকি প্রার্থীদের প্রচারণার ক্ষেত্রেও কোনো বাধা নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা আগামীকাল সকালে অফিস খুললে সিএমপি দায়ের করব। আশা করি আগামীকাল গুরুত্বের বিচারে আদালতে শুনানি হবে। এছাড়া হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ ডাকসু নির্বাচন আয়োজন, পরিচালনা, ক্যাম্পেইন, ছাত্রদের উৎসব এসব বিষয়ে কোনো স্থগিতাদেশ থাকলো না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী বলেন, এসএম ফরহাদের বিষয়ে হাইকোর্ট ডিভিশন কোনো আদেশ দেননি। আদালত রুল জারি করেছেন। আগামীকাল চেম্বার জজ আদালতে পরিপূর্ণ শুনানি হলে সেখানে সিদ্ধান্ত হবে।

এর আগে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন।

ডাকসু নির্বাচনের তপশিল অনুযায়ী, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৯ সেপ্টেম্বর। এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। আর সদস্যপদে সবচেয়ে বেশি ২১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এবার মোট ৪৭১ প্রার্থী ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। এ ছাড়া ২৮ প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ফলে চূড়ান্তভাবে ৪৭১ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক ১১ জন ও ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে ২১৭ জনের নাম চূড়ান্ত করা করেছিল কমিশন।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর