মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন

৭৩৯ ওষুধের দাম নি’র্ধা’রণ সর’কারের হাতে

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৪ বার পঠিত হয়েছে
ছবি : সংগৃহীত

১৯৯৩ সালে সরকারের জারি করা দেশে তৈরি জীবনরক্ষাকারী ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ-সংক্রান্ত গেজেট পুনর্বহাল করেছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের ফলে দেশের অধিকাংশ ওষুধের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার উৎপাদনকারীদের পরিবর্তে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে থাকবে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে স্বাস্থ্যসচিব, ডিজি হেলথ, ডিজি ড্রাগ, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ১১ ধারায় সরকারকে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে।

কিন্তু ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি সার্কুলারের মাধ্যমে সেই ক্ষমতা সীমিত করে মাত্র ১১৭টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে রাখা হয়। বাকি সব ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে।

এই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৮ সালে জনস্বার্থে একটি রিট করে। হাইকোর্ট তখন রুল জারি করে জানতে চান কেন ওই সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না? দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদালতে যুক্তি দেন, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম বৃদ্ধি সরাসরি মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সরকারের হাতে সীমিত করে দেওয়া নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করে।

রায়ে আদালত সংবিধানের ১১২ অনুচ্ছেদের আলোকে নির্দেশ দেন যে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করারও নির্দেশ দিয়েছেন।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর