শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন

মোঃ তৌহিদুল ইসলাম মিথিল ফেসিস্ট শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হিসেবে পুরস্কৃত এবং বর্তমানে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি। বিএনপিরও খাস লোক, বিএনপিতে কি নেতাকর্মীর আকাল পড়ল?

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩০ বার পঠিত হয়েছে

মোঃ তৌহিদুল ইসলাম মিথিল ফেসিস্ট শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হিসেবে পুরস্কৃত এবং বর্তমানে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি। বিএনপিরও খাস লোক, বিএনপিতে কি নেতাকর্মীর আকাল পড়ল?

একসময়ে শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন এবং তার পিএস সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল মুক্তারির এমপি এবং আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম মেম্বার সাবেক মন্ত্রী এড. কামরুল ইসলামের হাতে গড়া ব্রাক্ষণবাড়ীয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডে কেবল আওয়ামী ঘরানার এবং তাদের প্রতি প্রচন্ড ভাবে বিশ্বস্ত ব্যক্তিদেরকেই কেবল ট্রাস্টি বোর্ডে রাখা হয়েছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো আব্দুল মুক্তাদির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, ওবায়দুল মুক্তাদির এর ওয়াইফ ট্রাস্ট বোর্ডের ফাউন্ডিং মেম্বার। সেই বডিতে যে ইসলাম মিথিল মেম্বার হিসেবে আছে। অথচ বর্তমানে তিনি নিজেকে বিএনপি’র একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দাবী করে আসছে, সেই দাবির প্রেক্ষিতেই তিনি হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের মত একটি বিশাল প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এখানে সে শক্তপোক্ত হয়ে বসেছেন।

 

এখন তিনি কে প্রচার করছেন যে তিনি বিএনপিরা একনিষ্ঠ কর্মী, তারেক জিয়ার তার সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলেন। বিএনপি’র কি এমন দুর্দশা হলো যেসব কল টাউট বাটপার বিএনপিতে জায়গা দিতে হবে? বিএনপি’র নেতা/কর্মীর কি এত অভাব হয়ে গেল যে যারা শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কামরুলেরও বিশ্বস্ত, সেই বিশ্বস্ততার পুরস্কার হিসেবে যে লোক ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ফাউন্ডার মেমবার বনে গেল , সেই লোক আবার তারেক জিয়ারও বিশ্বস্ত বিএনপির ও বিশ্বস্ত বিষয়গুলা অনেকটা ঘোলাটে মনে হচ্ছে!!

 

জনাব তৌহিদুল ইসলাম মিথিল সাহেব যখন বিএনপির লোক পরিচয় দিয়ে সভাপতি হয়ে এসেছেন তখন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের বিগত বছরগুলিতে যারা নানান হয়রানির শিকার হয়েছে, নানান ক্ষেত্রে বঞ্চিত ছিলেন তারা আশায় বুখ বেধে ছিল যে তারা সকলে এবার তাদের অধিকার ফিরে পাবে।কিন্তু দেখা গেল যে তিনি এসেই আওয়ামীলীগ ঘরানার লোকজন নিয়ে আগের মতই কলেজ চালাচ্ছেন এবং বিএনপি বা জাতীয়তাবাদী পক্ষের শিক্ষক/কর্মচারীদেরকে পুর্বের মতই নানান ক্ষেত্রে হয়রানী, হুমকী ধমী, এবং চাকরীচ্যুতির ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। তার এই সব কার্যক্রম দেখে শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক সৃষ্টি হয়। আর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সময়ে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে সরকারের নানান সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন।

পোশাক আশাক এবং লেবাসে টি হলেও শেখ হাসিনার একজন কট্টর সমর্থক এবং মিশন নিয়ে এসেছে বিএনপি এবং সমমনা লোকদেরকে নানানভাবে হয়রানি করে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের প্রশাসন থেকে দূরে রাখা যায়।

তার প্রেক্ষিতে আর কলেজের শিক্ষক কর্মচারী ছাত্রছাত্রী অভিভাবক জাতীয় বিস্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের প্রতি দাবী পেশ করে যে অনতিবিলম্বে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির পদ থেকে জনাব তৌহিদুল ইসলাম মিথিলকে অপসারণ করে একজন যোগ্য স্বাচ্ছা জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক ব্যক্তিকে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ প্রাদানের জন্য।

সেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাউন্ডিং ট্রাস্টি মেম্বার অধ্যাপক শফিকুর রহমান, যিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের ২০২১-২০২৪ মেয়াদে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে

দায়িত্ব পালন করেছিলেন,যার নামে ২০২৪ এর গণঅবুত্থান বিরোধী, এবং জগন্নাথের ছাত্র হত্যার প্রচেষ্টার অপরাধে কোতোয়ালি থানায় হত্যার চেষ্টা মামলা হয়েছে, যেই মামলার বাদী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র, যে মামলায় তিনি ৭২ নাম্বার আসামী,সেই ব্যক্তির সাথে অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম মিথিল সাহেব একই বোর্ডের সদস্য। যে লোক তাদের এবং এডভোকেট কামরুল ইসলামের আস্থাভাজন হিসেবে মনবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাউন্ডিং পাঁচটি মেম্বার হতে পারে কোনভাবেই বিএনপি’র লোক হতে পারে না। কাজেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রচার্যের প্রতি জোরালো দাবি তো তাকে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পর থেকে অপসারণ করা হোক।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর