বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।
এর আগে, গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন। এরপর ১৯ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সিআইডির তদন্তে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় এবং শুরু হয় বিচারিক কার্যক্রম।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অধিকতর তদন্তে তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে আসামির তালিকায় যুক্ত করা হয়। বিচার শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও মামলার নথি হাইকোর্টে আসে। ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।
পরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ৫ আগস্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ১ ডিসেম্বর সব আসামিকে খালাস দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে, যার শুনানি এখন সুপ্রিম কোর্টে চলছে।