ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের বাণিজ্যে যুক্ত থাকার অভিযোগে ভারতের ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, এসব ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে’ ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নেয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড
গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেড
জুপিটার ডাই কেম প্রাইভেট লিমিটেড
রমনিকলাল এস. গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি
পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড
কাঞ্চন পলিমার্স
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল বাণিজ্যে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিশ্বের আরও ২০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এসব প্রতিষ্ঠানের যেকোনো সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন কোম্পানি ও নাগরিকরা তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারবে না। এমনকি, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, সেগুলোও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ এবং সেই সব মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা বিশ্বব্যাপী ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের পরিবহনে জড়িত।
এ ছাড়া, ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে, ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে, যা কার্যকর হবে আগামী ১ আগস্ট থেকে।
রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ও জ্বালানি কেনার বিষয়েও ভারতকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি, যদিও সেই শাস্তির সুনির্দিষ্ট ধরন এখনো পরিষ্কার নয়।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ইরানি তেল বিক্রির অর্থ মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সহায়তায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।