শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন

সবার সহযো/গিতায় ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষ/রের প্রত্যাশা আলী রীয়া/জের..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
  • ১৪ বার পঠিত হয়েছে
বক্তব্য দিচ্ছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি : Max tv bd

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা ও ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক উত্তরণে জুলাই সনদ প্রণয়নে কাজ করছে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা অনুযায়ী সুযোগের সমতা ও অধিকারের সাম্য নিশ্চিত করা। প্রত্যাশা করি, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা নিয়ে সবাই মিলে যথাসময়ে জুলাই সনদ স্বাক্ষর করা যাবে।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের উদ্যোগে ‘ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি : বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’- শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ক্ষমতা দেশ পরিচালনার ম্যান্ডেট, স্বেচ্ছাচারিতা চালাবার লাইসেন্স নয়। কোনো ব্যক্তিই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে নয়। নির্বাহী বিভাগকে অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জবাবদিহি না করার জন্যই প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংসের পথে। ব্যক্তির ভালোত্ব নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে।

সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, অতীতের মতো এবারকার ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানে পরিবর্তনের স্বপ্নকে কারো স্বার্থে জলাঞ্জলি দেওয়া যাবে না। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে অনেকেই ‘গনিমতের মাল’ হিসেবে বিবেচনা করে যা খুশি তাই করছেন। বিশ্বজিৎ আর আবরার ফাহাদের হত্যার সাথে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগের হত্যার পার্থক্য কোথায়? ১৫ বছরের আওয়ামী জাহেলিয়াতর সাথে মানুষ কেন এই সরকারের ১১ মাসের শাসনকে মেলানোর চেষ্টা করবে? এটা আমাদের রাজনৈতিক পরাজয়।

তিনি বলেন, সরকারের অকার্যকারিতায় মব সন্ত্রাস বাড়ছে। সামাজিক নৈরাজ্যের সুযোগে রাজনৈতিক লুম্পেন ও মাফিয়া সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। কোনো দলীয় পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সাইফুল হক বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে একদিকে এই নৈরাজ্য আরও বাড়বে, আর অন্যদিকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাবে। তাই অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এনে এর সমালোচনা করেন বিএনপির সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য বারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, চেয়ারের মজা নিতে গেলে দায়িত্বশীল আচরণও করতে হবে।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহবায়ক শেখ আবদুন নূর এর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুল মজিদ আতাহারী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বাসদ (মার্কসবাদী) এর সমন্বয়কারী মাসুদ রানা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আহত জুলাই যোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফায়েজুর রহমান মনির প্রমুখ।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর