ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ইশরাক হোসেন সমর্থিত শ্রমিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
তবে ইশরাকের অভিযোগ, নগর ভবনে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে নাগরিক সেবা ব্যাহত করে আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিকল্পিত হামলার করা হয়েছে। এবার এই ইস্যুতে আবারো কথা বললেন ইশরাক। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট দেন তিনি।
এতে তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আসিফ ভুঁইয়াকে বলব প্রয়োজনে আমাকে ধরে নিয়ে বুকে গুলি চালায় দেন। কিন্তু আমার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্যে আর একজনের বুকে ছুড়ি চালাবেন না।
এর আগে, ডিএসসিসির নগর ভবনে ইশরাক সমর্থিত শ্রমিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে এক পক্ষ আরেক পক্ষের কাউকে পেলেই গণপিটুনি দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়নের এক পক্ষের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্স দলবল নিয়ে নগর ভবনে ঢোকার সময় শ্রমিক ইউনিয়নের আরেক পক্ষের সভাপতি আরিফ চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে শ্রমিক দলের নেতা আরিফুজ্জামানের অনুসারী সন্দেহে নগর ভবনের এক কর্মীকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ইশরাকের অনুসারীরা সিটি করপোরেশনের প্রশাসন শাখার কম্পিউটার অপারেটর শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামকে বেদম পেটাতে থাকেন। এ সময় পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে পুলিশের কাছে ওই ব্যক্তিকে দিতে রাজি হননি ইশরাকের অনুসারীরা। পরে নগর ভবনে আসা আরেক ব্যক্তিকে আরিফুজ্জামান প্রিন্সের অনুসারী সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এই দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে আরিফুজ্জামান প্রিন্স বলেন, ইশরাক হোসেন নগর ভবনে সেবা চালু করার ঘোষণা দেওয়ার পরও বহিরাগত কিছু লোকজন প্রতিদিন এসে মহড়া দিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। নগর ভবনে প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন তারা। তাই আজ আমরা কর্মচারীরা একত্রে নগর ভবনে প্রবেশ করার সময় অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এরপরও নগর ভবনে যারা ঢুকছেন, তাদের গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছে।