জয়পুরহাট-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে
ধান, আলুতে ভরা বৃহত্তর জয়পুরহাট জেলার, ক্ষেতলাল থানার (কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর) মাটির সেধো গন্ধে বেড়ে ওঠা আব্বাস আলী। জীবন শুরু তার কোন বিলাসিতা বা কোন রাজনৈতিক ফ্যামিলিতে ছিল না। ধান-আলু চাষে জীবন শুরু হলেও হার না মানা অদম্য ইচ্ছায় স্কুল কলেজের গন্ডি পার করে অর্জন করেছেন দেশ সেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি। ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি বিএনপি’র রাজনীতিতে জড়িত। তিনি আপাদমস্তক একজন জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী মানুষ। বিগত দিনগুলোতে ঢাকার রাজপথে তার সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। জেল-জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করে হয়েছেন একজন পরিপক্ক একজন রাজনীতিবিদ। সহজ-সরল নির্লোভী নিরহংকার মানুষটিকে নিয়ে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তা তুলে ধরা হলো। -সম্পাদক]
জয়পুরহাট-২ (কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর) আসনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাদের নাম ভোটারদের আলোচনায় উঠে আসছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম একটি পরিচিত নাম আব্বাস আলী।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক অন্যতম সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, উত্তরাঞ্চল জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দীর্ঘদিন রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক আব্বাস আলী, জিয়া পরিবারের একজন নিবেদিতপ্রাণ সাহসী কর্মী হিসেবে পরিচিত। ছাত্রজীবনে তিনি আন্দোলন-সংগ্রামে সরব উপস্থিতি ও দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পাকাপোক্ত করেন।
বর্তমানে জয়পুরহাট-২ আসনের কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলায় সাধারণ জনগণ ও তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে তার নাম। মাঠে-ময়দানে সক্রিয় উপস্থিতি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক এবং তাঁদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার জন্য তিনি গণমানুষের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন।
জিয়ার সাহসী সৈনিক আব্বাস আলী: দমন-পীড়নের প্রতীক, সাহসের নাম।
আব্বাস আলী শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি দমন-পীড়নের প্রতীক এবং আপোষহীন প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর। ২০০৯ সালে এস এম হলে ছাত্রদল করার অপরাধে হলের গেস্ট রুমে নিয়ে চরম নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে মৃত ভেবে ফুলারোডে বস্তাবন্দি করে ময়লার ডাস্টবিনে রেখে যায় ফ্যাসিস্ট সরকারের গুন্ডা বাহিনী। ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে আওয়ামীলীগের ছাত্রলীগের ‘ডিস্কো বাহিনী’ কর্তৃক নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়। ২০১৮ সালে বিএনপির কঠিন সময়ে পল্টন কার্যালয়ের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে দেন সাহসী বার্তা।
সেই অপরাধে তাকে গুম করা হয় এবং ২১ দিন নিখোঁজ থাকার পর খোঁজ মিললে দীর্ঘ ১১ মাস কারাবরণ করতে হয়।
২৯ শে জুলাই ২০২৩ ঢাকার গাবতলীতে বিএনপির ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি পালনের সময় তার ওপর আওয়ামী লীগের দোসর, সন্ত্রাসী বাহিনী নৃশংস হামলা চালালে মাথা ফেটে গিয়ে রক্তাক্ত ও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।
ইতিহাসের সবচাইতে কলংক জনক অধ্যায় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টন হত্যাকাণ্ডে তাকেই লক্ষ্য করে হত্যা চেষ্টা চালানো হয় কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে!!দীর্ঘদিন তারেক রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়েই যখন কালাই ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর বিএনপির মিছিল মিটিংয় করার মত কোন নেতা কর্মীদের খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না ঠিক সেই সময়ে গ্রেফতারকৃত নেতা কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা ক্রমে আর্থিক সহযোগিতা ও কারাগার থেকে মুক্ত করার আশ্বস্ত করেন আব্বাস আলী।
একমাত্র তারই সাহসীকতায় জয়পুরহাট, কালাই,ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর বিএনপির চ্যালেঞ্জিং মিছিল মিটিংয় শুরু হয়ে যায়।
তিনি চারবার গুলিবিদ্ধ হন এবং মাথায় ২২টি সেলাই পড়ে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে অবৈধ ১৪টি রাজনৈতিক মামলা।
দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন তিনি। শুধু সংগ্রাম নয়, দলীয় দুঃসময়ে তিনি জয়পুরহাট জেলার সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ২০০জন বিএনপি নেতাকর্মীর জামিনে হাইকোর্টে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং নিয়মিত তাদের পরিবারের অদ্যাবধি খোঁজখবর রেখেছেন।
আব্বাস আলী এখন আর শুধু একটি নাম নয়—তিনি একটি আন্দোলনের প্রতীক, জিয়া পরিবারের আদর্শিক উত্তরসূরি, যিনি জনগণের অধিকার আদায়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, জয়পুরহাট -২ আসনে যদি বিএনপি আমাকে চুড়ান্ত মনোনয়ন প্রদান করেন তাহলে অতীতের ন্যায় দেশ,জনগণ ও দলের হয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত আছি এবং সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ।
জয়পুরহাট, প্রতিনিধি..