বগুড়া জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও জামায়াত-শিবির ঘরানার কর্মীদের অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পদবঞ্চিতরা।
এর মধ্যে জেলা ছাত্রদলে ১৮ জন, শহর ছাত্রদলে তিনজন ও সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রদলে দুজন রয়েছেন বলে অভিযোগ এনেছেন ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে তারা জেলা বিএনপির মাধ্যমে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে বগুড়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার মাধ্যমে স্মারকলিপিটি জমা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ৪ জুন বগুড়া জেলা ছাত্রদলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮টি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পরদিন ৫ জুন পদবঞ্চিত বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী শহীদ খোকন পার্কে আমরণ অনশন শুরু করেন। সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির নেতারা সেখানে গিয়ে আলোচনা করে তাদের অনশন ভাঙিয়ে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যান।
এরপর মঙ্গলবার পদবঞ্চিতরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জমা দেন।
লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে থাকা ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন ২৩ জনকে কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। ১৫ বছর ধরে রাজপথে যারা জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে, তাদের মূল্যায়ন না করে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত-শিবির ঘরানার অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে জেলা কমিটি সাজানো হয়েছে। এতে দলের ভেতরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
পদবঞ্চিতরা অভিযোগ করেন, নবগঠিত কমিটির জেলা শাখায় ১৮ জন, শহর শাখায় ৩ জন এবং সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখায় ২ জন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণসহ তালিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ অভিযোগের বিষয়ে বলেন, কমিটি ছোট করার নির্দেশনা ছিল। যার কারণে অনেকের নাম বাদ পড়েছে। আলোচনার মাধ্যমে পদবঞ্চিতদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম. আর. ইসলাম স্বাধীন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তাহউদ্দিন নাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম, কে এম খাইরুল বাসার, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা নাজমা খাতুনসহ আরও অনেকে।