মালয়েশিয়ায় সাত মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে ২৮৩ বাংলাদেশি কর্মীর। এসব বেতন না পাওয়া ২৮৩ বাংলাদেশি কর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছে জাপানি বহুজাতিক কোম্পানি সনি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রাইটস (আইআর) অ্যাডভোকেটস জানিয়েছে, সনি এসব বিদেশি কর্মীদের সহায়তা করতে অর্থবহ এবং সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রাথমিকভাবে তাদের অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করা ও মালয়েশিয়া শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের কাজের ব্যবস্থা করা।
রাইটস অ্যাডভোকেটসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক টেরেন্স কলিংসওয়ার্থ এক বিবৃতিতে সনিকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, সনির এই পদক্ষেপ একটি শক্তিশালী অনুস্মারক যে, যখন করপোরেশনগুলো প্রকৃত অর্থে জবাবদিহিতা ও সহযোগিতাকে গ্রহণ করে তখন পরিবর্তন সম্ভব।
জানা যায়, বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের বেতন না পাওয়ার বিষয়টি প্রথম সামনে আসার পর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইআর অ্যাডভোকেটস তাদের পূর্বের নিয়োগকর্তা কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিং এসডিএন্ড বিএইচডি এবং কাওয়াগুচির ডাউনস্ট্রিম গ্রাহকদের সঙ্গে বিষয়টি উপস্থাপন করে। এর মধ্যে সনিও ছিল।
এরপর কাওয়াগুচির সঙ্গে সনি ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর কাওয়াগুচি তাদের বিদেশি কর্মীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে সম্মত হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে এর পাঁচ দিন আগে শ্রমিকরা পর্টক্লান-এর কারখানার বাইরে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিল। মালয়েশিয়া শ্রম মন্ত্রণালয় তখন অন্যথায় কাজের ব্যবস্থার জন্য সম্মত হয়েছিল।
অন্যদিকে অভিবাসী শ্রম অধিকার কর্মী অ্যান্ডি হল সনিকে ডাইকিন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার জন্য ধন্যবাদ জানান। বিশ্বের বৃহত্তম এয়ারকন্ডিশনার প্রস্তুতকারক ডাইকিন ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিদেশি কর্মীর জন্য ১২ হাজার মার্কিন ডলার জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছিল। এ সময় তারা প্রতিটি শ্রমিককে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তাও করেছিল।