দীর্ঘ সাত বছর পর মুক্ত পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এবারের ঈদে তিনি রাজধানীর গুলশানের ফিরোজা ভবনে আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবেন।
সম্প্রতি চিকিৎসা শেষ করে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন খালেদা জিয়া। তবে শর্মিলা রহমান ইতোমধ্যে তাদের দুই মেয়ে- জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানের কাছে ফিরে গেছেন।
অন্যদিকে, ডা. জুবাইদা রহমান আজ বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) সকালে ঢাকা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে তার স্বামী তারেক রহমান ও তাদের একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান অপেক্ষা করছেন। তারা এবারের ঈদ উদযাপন করবেন যুক্তরাজ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে তাদের বেশিরভাগই এখন নির্বাচনী বার্তা নিয়ে এলাকামুখী। কেউ কেউ এরই মধ্যে নিজ নিজ সংসদীয় আসনে জনসংযোগও শুরু করেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে ঈদ উপহারও পৌঁছে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ক্ষেত্রে ‘জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)’ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর মাধ্যমে উপহার দেওয়া হচ্ছে। দলের অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে ঈদ উপলক্ষে উপহারসামগ্রী বিতরণ করছেন। এ ছাড়া বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামের সহযোগীদের সঙ্গেও ঈদে সময় কাটাবেন তারা। বন্যা পূর্বাভাসের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে সহযোগিতার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন। এলাকার মানুষের কাছে উপহার-উপঢৌকন পৌঁছে দিচ্ছেন অন্য দলের নেতারাও।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ঈদের দিন সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতারা। এরপর রাতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির নেতাদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা রয়েছে।
ঢাকা বিভাগের নেতাদের মধ্যে আবদুস সালাম পিন্টু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আহমেদ আজম খান, আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, মাহাদী আমিন, সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিনুল হক, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, নজরুল ইসলাম আজাদ, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, শেখ রবিউল আলম রবি, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মীর সরফত আলী সপু, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাইফুল আলম নীরব, আফরোজা আব্বাস, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসান, তাবিথ আউয়াল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, রফিকুল আলম মজনু, তানভীর আহমেদ রবিন, মোস্তফা জামান, মাহমুদুর রহমান সুমন, ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, খন্দকার আবু আশফাক, মামুন হাসান, এম কফিল উদ্দিন, এস এম জাহাঙ্গীর, ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ, এম এ কাইয়ুম, মামুন হাসান, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আক্তার হোসেন নিজ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
ময়মনসিংহ বিভাগের নেতাদের মধ্যে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, শরিফুল আলম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ড. রফিকুল ইসলাম হেলালী, ডা. মো. আনোয়ারুল হক, প্রকৌশলী মোস্তফা-ই জামান সেলিম, মো. মামুন বিন আব্দুল মান্নান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামসুজ্জামান, এজমল হোসেন পাইলট, শহীদুল্লাহ ইমরান, সালমান ওমর রুবেল প্রমুখ।
রাজশাহী বিভাগের মিজানুর রহমান মিনু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, হারুনুর রশিদ হারুন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, তাইফুল ইসলাম টিপু, শফিকুল হক মিলন, আবদুল মতিন, ওবায়দুর রহমান চন্দন, মোশাররফ হোসেন, ফজলুর রহমান খোকন, আবু সাঈদ চাঁদ, আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল, মাহমুদা হাবিবা, মো. আবু বকর সিদ্দিক, গোলাম মোস্তফা, ফজলে হুদা বাবুল প্রমুখ।
রংপুর বিভাগের আসাদুল হাবিব দুলু, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ফরহাদ হোসেন আজাদ, বখতিয়ার আহমেদ কচি, ডা. মো. আবদুস সালাম, মির্জা ফয়সাল আমিন, জেড মোর্তুজা চৌধুরী তুলা, ডা. মঈনুল হোসেন সাদিক, তাসভীর উল ইসলাম, সাইফুর রহমান রানা, আবদুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, ড. মিজানুর রহমান মাসুম প্রমুখ।
খুলনা বিভাগের শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, নার্গিস বেগম, রকিবুল ইসলাম বকুল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, আজীজুল বারী হেলাল, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, শামীমুর রহমান শামীম, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টি এস আইয়ুব, এ কে এম আমিরুজ্জামান শিমুল, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মিথুন রায় চৌধুরী, জাকির হোসেন প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বিভাগে বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জয়নুল আবেদীন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, মাহবুবের রহমান শামীম, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, শাকিলা ফারজানা, মামুনুর রশিদ মামুন, নাছির উদ্দীন নাসির, ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান, সামির কাদের চৌধুরী, ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকার প্রমুখ।
সিলেট বিভাগের আরিফুল হক চৌধুরী, তাহসিনা রুশদির লুনা, নাসের রহমান, কয়েস লোদী, জিকে গউস প্রমুখ।
ফরিদপুর বিভাগে মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু, শামা ওবায়েদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম, খন্দকার মাশুকুর রহমান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, এসএম জিলানী, নায়াবা ইউসুফ প্রমুখ।
বরিশালে বিভাগে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মনি, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জহির উদ্দিন স্বপন, ডা. জিয়াউদ্দিন হায়দার, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আকন কুদ্দুসুর রহমান, মো. মুনির হোসেন, কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, নুরুল ইসলাম নয়ন, হায়দার আলী লেলিন, মাহবুবুল হক নান্নু, দুলাল হোসেন, অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার, হাসান মামুন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রাজিব আহসান, সাইফ মাহমুদ জুয়েল এবং কুমিল্লা বিভাগে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, বিল্লাল হোসেন তারেক প্রমুখ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল Max tv bdকে বলেন, বিএনপি একাধিকবার সরকার পরিচালনাকারী দল। নির্বাচনের প্রস্তুতি আমাদের সবসময় ছিল। আগামী দিনে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনেরও প্রস্তুতি রয়েছে। সুতরাং ঈদ হচ্ছে আমাদের জন্য কাজ করার বাড়তি সুযোগ।