শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন

মোং/লা বন্দ/রে বাণি/জ্যিক জা/হা/জে ডাকা/তের হা/না..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫
  • ৩৩ বার পঠিত হয়েছে
বাণিজ্যিক জাহাজ। ছবি : সংগৃহীত

বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী ‘এমভি সেঁজুতি’ নামে একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে নাবিকদের হাত-পা বেঁধে টাকা, মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে ডাকাত দল। এ সময় তিন নাবিক আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৬ মে) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান পিএনএন শিপিং লাইন্সের মালিকানাধীন এমভি সেঁজুতি বাণিজ্যিক জাহাজটি ভারত থেকে পাথরবোঝাই করে গত বছরের ২২ জুন মোংলা সমুদ্রবন্দরে আসে। পাথর খালাস শেষ হলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় এক বছর ধরে এটি বন্দর চ্যানেলের (পশুর নদী) বেসক্রিক এলাকায় অবস্থান করছে। জাহাজে চিফ অফিসারসহ সাত ক্রু ও স্টাফ রয়েছেন।

জাহাজটির লোকাল শিপিং এজেন্ট আল সাফা শিপিং লাইন্সের খুলনার ম্যানেজার শরিফ জাহাদুল করিম অমিত জানান, মোংলা বন্দর চ্যানেলে থাকা এ জাহাজটিতে এর আগেও দুই দফায় ডাকাতরা হানা দেয় ও লুটপাট চালায়। সে সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ সোমবার ভোরে ১৪ জনের একটি ডাকাত দল ফিশিং ট্রলারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাহাজটিতে হানা দেয়। নাবিকদের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে লুটপাট করে ডাকাত দলের সদস্যরা।

তিনি বলেন, এ সময় জাহাজের পণ্য খালাস ও বোঝাইয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, জাহাজ বাঁধার ওয়্যার রোফ, ইঞ্জিনে ব্যবহৃত বেয়ারিং এবং জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন মালপত্র লুটে নেয়। এ ছাড়া নাবিকদের ৭টি মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। ডাকাতদের মারধরে জাহাজের তিন নাবিক আহত হন। ডাকাতরা প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুট করেছে বলে দাবি শরিফ জাহাদুল করিম অমিতের।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোস্টগার্ড এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট কমান্ডার হারুন অর রশীদ বলেন, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে লুণ্ঠিত মালপত্র উদ্ধার ও ডাকাত দলকে ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।

বন্দর চ্যানেলে থাকা বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতি প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মাকরুজ্জামন মুন্সী কারবেলাকে জানান, ঘটনাটি তারা শুনে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর