বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

দে/শে ফি/রল ভারতে আ/টক ১১ বাংলা/দেশি

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
  • ৯ বার পঠিত হয়েছে
সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরেন মা। ছবি : Max tv bd

ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অপরাধে কারাভোগ শেষে ১১ বাংলাদেশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে আগরতলা থেকে আখাউড়া সীমান্তের চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফেরেন।

বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনকৃতরা হলেন- কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর মো. ইব্রাহিম, বাগেরহাটের হেলাল জমদ্দার, রাজশাহীর মো. আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কবীর শেখ, রাহুল শেখ, মো. আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান, মো. রুহুল আমিন।

জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচারের শিকার হয়ে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছেন তারা। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার নরসিংগর ক্ষণস্থায়ী আটক কেন্দ্রে তাদের আটক রাখা হয়।

এ সময় কান্না জড়িত কণ্ঠে ফারজানা আহমেদ বলেন, আমি ৯ মাস আমার মেয়েকে কাছে পাওয়ার জন্য খুব অপেক্ষা করেছি। পাঁচ মাস আমি আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। ৯ মাস পর মেয়েকে বুকে পেয়েছি আমি। ভারতে পার্লারের কাজ করতে গিয়েছিলাম। যাওয়ার একদিন পর আমি পুলিশের হাতে ধরা পড়ি। এভাবে ভারতে যাওয়াটা আমার একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।

হেলাল জমাদ্দারের ভাই মো. বেলাল জমাদ্দার বলেন, আমার ভাই আট মাস আগে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হন। পরে খবর পাই ভারতে গিয়ে আটক হয়েছে। সরকারি প্রক্রিয়ায় আজ ফিরে এসেছে। ভাইকে ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে।

ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের কনস্যুলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ওমর শরীফ বলেন, ৭/৮ মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। আদালতের মাধ্যমে কারাভোগ শেষে তাদের ত্রিপুরায় অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়। জানতে পেরে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের নাম ঠিকানা পাঠাই। নাগরিকত্ব যাচাই শেষে ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিগকে আমরা প্রত্যাবসনের ব্যবস্থা করি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনস্যুলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ওমর শরীফ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ওসি আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মো. মুখলেছুর রহমান, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র অফিসার মো. শিহাবুল হোসেন প্রমুখ।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর