মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৫:৫১ অপরাহ্ন

আ/জও ভার/তের সাত শহ/রে ফ্লা/ইট বা/তিল..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
  • ৭ বার পঠিত হয়েছে
বিমানবন্দরে অপেক্ষারত বিমান। ছবি : সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও আতঙ্ক কাটেনি। ফলে আজও ভারতের সাত শহরে ফ্লাইট বাতিল করেছে দেশটির দুটি এয়ারলাইন্স। ফ্লাইট বাতিল করা এসব শহর সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত।

মঙ্গলবার (১৩ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স মঙ্গলবার সাতটি সীমান্তবর্তী শহরে তাদের ফ্লাইট বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। এই শহরগুলো হলো শ্রীনগর, জম্মু, আমৃতসর, চণ্ডীগড়, লেহ, জোধপুর এবং রাজকোট। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে, যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে।

এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তারা জম্মু, লেহ, জোধপুর, আমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট থেকে ও তাদের দিকে যাওয়া ফ্লাইট বাতিল করেছে। ইন্ডিগোও জম্মু, আমৃতসর, চণ্ডীগড়, লেহ, শ্রীনগর এবং রাজকোটের ফ্লাইট বাতিল করেছে।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং আপনার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবারের জন্য উল্লিখিত শহরগুলোতে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং আপনাকে আপডেট জানাব।

ইন্ডিগো জানিয়েছে, আপনার নিরাপত্তাকে আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি এটি আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে এবং এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। আমাদের দল পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং শীঘ্রই আপনাকে আরও তথ্য জানাবে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, এই বিমানবন্দরগুলো সোমবার থেকে বেসামরিক ফ্লাইটের জন্য পুনরায় চালু হয়েছিল, যেগুলো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কারণে গত সপ্তাহে অস্থায়ীভাবে বন্ধ ছিল। ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই) সোমবার ঘোষণা করেছে যে, ৩২টি বিমানবন্দরে বেসামরিক ফ্লাইট পুনরায় চালু হবে, যার মধ্যে রয়েছে আধমপুর, আম্বালা, আওয়ান্তিপুর, বাথিন্ডা, বিকানের, হালওয়ারা, হিন্ডন, জয়সালমের, কান্দলা, কাংড়া (গাগ্গাল), কেশোদ, কিশানগড়, কুল্লু মানালি (ভুন্তার), লুধিয়ানা, মুন্দ্রা, নালিয়া, পাঠানকোট, পাটিয়ালা, পোরবন্দর, সারসাওয়া, শিমলা, থোইস এবং উত্তরলাই।

শনিবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর এই ঘোষণা আসে। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়, যাতে ২৬ জন নিহত হয়। এরপর ভারত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে এবং পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে আঘাত হানে। ভারত লস্কর-ই-তইবা (এলইটি), জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটি ধ্বংস করে এবং ১০০ জনের বেশি সন্ত্রাসীকে হত্যা করে।

এর জবাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায়, যা সফলভাবে প্রতিহত করা হয়। এরপর ভারত পাকিস্তানের গভীরে রাডার ইনস্টলেশন, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার এবং রাফিকুই, চকলালা, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং সিয়ালকোটের মতো স্থানে অস্ত্রাগারের মতো নির্বাচিত সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। পরে গত শনিবার (১০ মে) দুই দেশ তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায়।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর