শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন

প্রধান উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১০ বার পঠিত হয়েছে
সোনারগাঁয়ে মৎস্য কার্যালয়ের অফিস সহকারী মাহবুব আলম সুমন। ছবি : সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মৎস্য কার্যালয়ের অফিস সহকারী মাহবুব আলম সুমনের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগীরা সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানের কাছে পৃথকভাবে কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মৎস্য কার্যালয়ের অফিস সহকারী মাহবুব আলম সুমন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রত্যেক দরিদ্র অসহায়দের নগদ দুই লাখ টাকা দিবে বলে জানিয়েছেন। এর জন্য দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসংস্থান ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য তাকে দিতে হবে ছয় হাজার টাকা। শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে জন প্রতি ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে দিয়েছেন একটি করে ম্যাসেজ। ওই ম্যাসেজে লেখা হয়েছে আপনার অ্যাকাউন্টে পাঁচ হাজার টাকা জমা হয়েছে। পরে ভুক্তভোগীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ওই ব্যাংকে তাদের কোনো একাউন্ট নেই। যে মোবাইল নম্বর দিয়ে মেসেজ দেওয়া হয়েছে সেটাও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নয়। এভাবে তিনি একটি ইউনিয়ন থেকেই হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় দশ লাখ টাকা। এমন করে বিভিন্ন ইউনিয়ন মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।

আরেকটি পৃথক অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাঁচ লাখ টাকার সরকারি ঘর দিবে বলে জনপ্রতি নিয়েছে দেড় লাখ টাকা। গাভি দেওয়ার কথা বলে নিয়েছেন জনপ্রতি পঞ্চাশ হাজার টাকা। একই সঙ্গে মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতার জন্য নিয়েছেন জনপ্রতি পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি৷

ভুক্তভোগী স্বর্ণা জানান, আমরা গরিব মানুষ। মাহবুব আলম সুমন মৎস্য কর্মকর্তার পরিচয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুদান দেওয়ার কথা বলে আমাদের থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেন। আমরা তাকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

সনমান্দী ইউনিয়নের আরেক ভুক্তভোগী তাছলিমা বেগম জানান, আমিসহ আমাদের এলাকার অনেকের থেকেই বাড়ি ও গাভি দিবে বলে প্রত্যেকের থেকে দেড় লাখ টাকা থেকে শুরু করে পঁচিশ হাজার করে টাকা নেয়। এখন অফিসে গিয়ে জানতে পেরেছি তিনি প্রতারণা করেছে। এ বিষয়ে আমরা ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান, ভুক্তভোগীরা আগেও একাধিকবার অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। সুমনকে ৪ বার শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে রমজান মাস থেকেই অফিসে অনুপস্থিত।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমান বলেন, ভুক্তভোগী গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর