বক্তব্য ও বিবৃতিতে প্রায়ই ইসরায়েলকে হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।তারপরেও ইসরায়েলের সঙ্গে যেনো কোনো সংঘাত বেধে না যায়, সেজন্য গোপনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এরদোয়ান প্রশাসন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে তার দেশের রয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সৈন্য। সব মিলিয়ে সামরিক শক্তিতে বেশ ভালোই এগিয়ে রয়েছে ইউরোশিয়ার দেশটি। তবুও ভেতরে ভেতরে ইসরায়েলকে সমীহ করে তুরস্ক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ার বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক ও ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে ভুল বোঝাবুঝি থেকে তাদের মধ্যে যেনো কোনো যুদ্ধ লেগে না যায়, সে জন্য স্থানীয় সময় বুধবার (৯ এপ্রিল) ককেশাস অঞ্চলের দেশ আজারবাইজানে আলোচনায় বসেন দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, আঙ্কারা ও তেল আবিবের মধ্যে যোগাযোগের একটি চ্যানেল চালু করতে এই বৈঠক হয়।
রয়টার্স জানায়, গেল সপ্তাহ তুরস্কের সেনারা সিরিয়ার অন্তত তিনটি সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করে। একে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তির অংশ বলে দাবি করে এরদোয়ান প্রশাসন।
তবে, বিষয়টি নাকচ করে দেয় নেতানিয়াহুর দেশ। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে রাজধানী দামেস্কের পার্শ্ববর্তী সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইসরায়েল। হুমকি দেয়, তুরস্ক যদি সিরিয়াকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে, তাহলে এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে।