শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১০ অপরাহ্ন

২২ দিনে এলো ২৯ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫
  • ১৫ বার পঠিত হয়েছে
ছবি : সংগৃহীত

ঈদকে সামনে রেখে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আরও বেড়েছে। চলতি মাস মার্চের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় আড়াই বিলিয়ন (২৪৪ কোটি) ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) এর পরিমাণ ২৯ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকার বেশি। এই হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১১ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। সবকিছু ঠিক থাকলে, চলতি মার্চে প্রবাসী আয়ের ইতিহাস সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।

এবারের মার্চে রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করতে পারে, যা দেশে রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ড হবে। এর আগে, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) আসে গত ডিসেম্বরে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গত ৫ আগস্টের পর নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন হওয়ার পর প্রবাসী আয়ের গতি বাড়ে। একই সঙ্গে কমে গেছে হুন্ডি ব্যবসা এবং অর্থ পাচার। বর্তমানে, ব্যাংকগুলোতে খোলা বাজারের মতোই রেমিট্যান্সের ডলার পাওয়া যাচ্ছে, যার ফলে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী। এ ছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেমিট্যান্স আসার গতিপ্রবাহ আরও বেড়েছে।

মার্চের ২২ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো মাধ্যমে এসেছে ৫৩ কোটি ডলার, বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ২০ কোটি ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার, আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। তবে, এই সময়কালে ৭টি ব্যাংকে রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং বেসরকারি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৮ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার, যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের চেয়ে ৩৫৫ কোটি ডলার বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরের ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরের ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, নভেম্বরের ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর