খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় লারমা স্কোয়ারে ৬ মাসের ব্যবধানে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা। প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
এ ঘটনায় মুদি দোকান, কাপড়ের দোকান, ফার্মেসি, মোবাইল রিচার্জের দোকানসহ আনুমানিক ১২টি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার পঙ্কজ কুমার Max tv bdকে জানান, দীঘিনালার লারমা স্কয়ার বাজারে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের দীঘিনালা ইউনিট, সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোনের সেনা সদস্যরা, পুলিশ ও স্থানীয়দের সার্বিক প্রচেষ্টায় খুব দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে ১২টি দোকান অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল ওমর ফারুক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ও ব্যবসায়িদের তালিকা করা হচ্ছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের তালিকা করা হচ্ছে। গত ৬ মাস আগেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিমল শীল বলেন, গত ৬ মাস আগে একবার আগুন ধরে পুড়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে আড়াইটার দিকে আগুনে আমার সেলুন দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এতে আমার ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কাপড় দোকানদার মো. শহিদুল আলম বলেন, ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনা করার জন্য আমি দোকানে দুবার ১০/১৫ লাখ টাকার গার্মেন্টস কাপড় তুলেছিলাম। গত ৬ মাস আগে একবার দোকান পুড়ে গিয়েছিল। ঋণ করে আবার দোকান চালু করি। এবারের অগ্নিকাণ্ডে আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় এ বাজারের শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।