পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীসহ ৮ বাংলাদেশিকে আটকের পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। যাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদের তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পঞ্চগড় ব্যাটালিয়ন ১৮ বিজিবির অধীনস্থ তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের কাশিমগঞ্জ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তের মেইন পিলার ৭৩০ এর ৬ সাব পিলার এলাকা দিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াবিহীন এলাকা দিয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাতজন বাংলাদেশি ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করেন।
এ সময় বিএসএফের ১৮ ব্যাটালিয়নের বানেশ্বরজোত বিওপির টহলদল তাদের আটক করে। পরে বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় সীমান্তের মেইন পিলার ৭৩০ এলাকায় বিজিবি বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আটক বাংলাদেশিদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
এদিকে তেঁতুলিয়ার মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলনের সময় ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করায় উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের লোহাকাচি এলাকার রবিউলকে আটকের পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ তেঁতুলিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্তের মেইন পিলার ৪৪৩ এর ১৩ সাব পিলার থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে এক বাংলাদেশি পাথর শ্রমিক পাথর-বালু উত্তোলন করছিলেন। এ সময় বিএসফের ১৮ ব্যাটালিয়নের বিবেকানন্দ ক্যাম্পের টহল দল তাকে আটক করে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি তেঁতুলিয়া বিওপি জানতে পেরে বিএসএফ বানেশ্বরজোত বিওপির সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে বুধবার বিকেল তিনটায় পতাকা বৈঠকের পরে বাংলাদেশি পাথর শ্রমিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে বিজিবির টহল সব সময় জোরদার করা হয়। তবে দালালের মাধ্যমে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে বিএসএফের হাতে আটক হয়। পরে আমরা তাদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যেমে ফিরিয়ে নিয়ে আসি। দেশের আইনে মামলার প্রস্তুতি চলমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি এনায়েত কবির বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এজাহার দায়েরের প্রক্রিয়াসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।