প্রকৃতিতে প্রবেশ করেছে ঋতুরাজ বসন্তকাল। শীতে যবুথবু হয়ে পড়া প্রকৃতি বসন্ত গায়ে মেখে সতেজ হয়ে উঠতে শুরু করেছে। প্রকৃতি আরও বর্ণিল হয়ে উঠতে শুরু করেছে বসন্তে ফোটা নানা জাতের ফুলে। এমনই এক দৃষ্টিনন্দন ফুল পিউম। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতিতে রং ছড়াচ্ছে এ ফুল। এ ফুলের নয়নাভিরাম নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ফুলপ্রেমীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সদর ও শশীদল ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুংঘুর নদীর পাড়ে, পতিত জমিতে, বিভিন্ন খাল ও জলাশয়ের পাড়ে প্রকৃতিতে রং ছড়িয়ে ফুটে আছে চোখজুড়ানো পিউম ফুল। আসা-যাওয়ার পথে পথচারীসহ স্থানীয়দের মুগ্ধ করছে এ ফুল। ফুলটির লোভনীয় সৌন্দর্যের কারণে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করছে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণী ও ফুলপ্রেমীদের। অনেক গাছ একসাথে ঝোপ আকারে বেড়ে ওঠে ও ফুল ফোটে বলে দূর থেকে ফুলের উজ্জ্বলতা চোখে পড়ে। স্থানীয়দের কাছে ফুলটির নাম অজানা হলেও সৌন্দর্য গুণে বেশ সমাদৃত।
স্থানীয় বাসিন্দা মশিউর রহমান বলেন, আমাদের বাড়ির পাশের ঘুংঘুর নদীর পাড়ের অনেকটা জায়গা দখল করে এ ফুল ফুটে আছে। আমরা এর নাম জানি না, তবে ফুলগুলো বেশ সুন্দর।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহেল রানা Max tv bdকে বলেন, হুরহুরে একটি ভেষজ উদ্ভিদ। মানবদেহের জন্য এ উদ্ভিদ বেশ উপকারী। এ উদ্ভিদের কচি কাণ্ডে ক্লান্তি দূর হয় এবং দেহে শীতল অনুভূতির সৃষ্টি করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও কানের প্রদাহ, বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ের যন্ত্রণা, খিঁচুনি ও ফোঁড়ার ব্যথার উপশম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গোল কৃমি প্রতিরোধে এর বীজ বেশ উপকারী।
তিনি বলেন, আমাদের প্রকৃতি থেকে দিন দিন মূল্যবান ঔষধি গাছ বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে। এতে ভবিষ্যতে ইউনানি চিকিৎসা হুমকির মুখে পড়বে। তাই ঔষধি গাছ সংগ্রহে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।