জার্মানিতে আগামীকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সংসদ নির্বাচন। প্রায় ছয় কোটি ভোটার আগামী চার বছরের জন্য সংসদে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। এবারের নির্বাচন দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ইউরোপীয় রাজনীতির ওপর।
জার্মানির নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্র ও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের সমন্বয়ে গঠিত। প্রতিটি ভোটার দুটি ভোট দেন। প্রথমে একটি সংসদ সদস্য এবং পরে একটি রাজনৈতিক দলের জন্য। দ্বিতীয় ভোটের মাধ্যমে সংসদে দলগুলোর অনুপাত নির্ধারিত হয়। একটি দল যদি ৫ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পায়, তবে তারা সংসদে আসন পেতে সক্ষম হয়।
এবারের নির্বাচনে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা থাকলেও জনপ্রিয় চ্যান্সেলর প্রার্থী হিসেবে সিডিইউ-সিএসইউর নেতা ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস এগিয়ে আছেন। তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস (এসপিডি) ও ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হাবেকের (সবুজ দল)জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণে।
এবারের নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তা সরাসরি সরকারের নেতৃত্ব পাবেন না। বরং তারা জোট গঠন করে সরকার পরিচালনার চেষ্টা করবেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলেরই লক্ষ্য- একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করা, যার মাধ্যমে দেশটির আগামী চার বছরের রাজনীতি পরিচালিত হবে। তথ্য: ডয়চে ভেলে