দেশে হজ-ওমরাহর বিমান টিকিটের দাম ৫০ হাজার টাকার বেশি হওয়া উচিত নয় বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ হজ-ওমরাহ মুয়াল্লিম ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ হজ ওমরাহ মুয়াল্লিম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘হজ-ওমরাহ যাত্রীদের বিমান টিকিট সিন্ডিকেট ও মানোন্নয়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, হজ-ওমরাহর টিকিট নিয়ে পেঁয়াজ, রসুনের মতো সিন্ডিকেটভিত্তিক ব্যবসা করা হচ্ছে। যার কারণে বিমানের টিকিটের দাম যাত্রীদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বিদেশযাত্রীদের নিয়ে সবসময় বিমান কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট তৈরি করে। এ সিন্ডিকেট টিকিটের দাম বাড়িয়ে দেয়।
বক্তারা বলেন, মানুষ সাধারণত রমজান মাসে ওমরাহ করার নিয়ত করে। কিন্তু টিকিটের চড়া দামের কারণে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত মুসলমানরা এ মহান ইবাদত থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন প্রায় প্রতিটি বিমানের টিকিটের দাম প্রায় লাখ টাকা হয়ে গেছে। পাশাপাশি সৌদিতে হোটেল ভাড়া, খাবার-দাবার, অন্যান্য খরচ তো আছেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, এ সরকার ও ধর্ম উপদেষ্টার প্রতি আমাদের আস্থা ছিল অনেক। কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে একটা কালো বিড়াল এদের ঘাড়ে ভর করেছে। একটা টিকিটের মূল্য দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়েছে। যার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তারা প্রতিবাদ শুরু করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহম্মদ হোসাইন কাসেমী বলেন, হাব (হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনায় জড়িত। তাদের উচিত ছিল এটা নিয়ে কথা বলা। শুধু ওমরাহর টিকিট যদি এত টাকা হয়, বাকি খরচ কীভাবে আসবে? টিকিট সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে হজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কথা বলতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কেএম আবু হানিফ হৃদয় বলেন, যারা সিন্ডিকেট করে তারা আওয়ামী লীগের দোসর। তারা আগেই লাইসেন্স নিয়েছে। তাদের লাইসেন্স এখনো বহাল। ভারত-ইন্দোনেশিয়ার লোকজন অনেক কম টাকা দিয়ে হজ-ওমরাহ করতে যায়। আমরা ড. ইউনূসকে ব্যর্থ সরকার হিসেবে দেখতে চাই না। দ্রুত হজ ও ওমরাহর জন্য টিকিটের দাম কমানো এবং এ সেক্টরের মানোন্নয়ন করতে হবে।