শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৭ অপরাহ্ন

জাবিতে ইন্টারনেট কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৯ বার পঠিত হয়েছে
নিহত ইন্টারনেট কর্মী প্রীতম রায়। ছবি : Max tv bd

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রীতম রায় নামে এক ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত একটার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করেন হলের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত প্রীতম রায়ের (২৩) গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টারনেটের কর্মচারী ছিলেন। প্রীতম সাভারের ভাটপাড়া এলাকায় মাস্টারনেটের বাসায় থাকতেন।

মীর মশাররফ হোসেন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রাত ১০টার দিকে প্রীতমসহ চারজন কর্মচারী ইন্টারনেট মেরামতের কাজে হলে আসেন। প্রীতম হলের এ-ব্লকের চারতলা ভবনের ছাদে কাজ করছিলেন। বাকিরা হলের অন্যদিকে ছিলেন। পরে প্রীতমের খোঁজ না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাকে হলের পেছনের অংশে মাটিতে নিস্তেজ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারা ধারণা করছেন, প্রীতম ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন।

এ বিষয়ে মাস্টারনেটের মালিক মো. রুবেল বলেন, দিনের বেলায় সব শিক্ষার্থী কক্ষে থাকেন না। সেজন্য রাতে তার কর্মচারীরা ইন্টারনেট মেরামতের কাজ করছিলেন। ছাদে প্রীতম ইন্টারনেটের লেজারের কাজ করছিলেন। রাত ১১টার দিকে হলে বাকি যারা কাজ করছিলেন তাদের একজনকে প্রীতম ফোনে জানিয়েছিলেন, তিনি দুটি লেজার মেরামতের কাজ করেছেন। এখনো দুটি লেজারের কাজ বাকি আছে। এরপরে তার আর সাড়া শব্দ না পাওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।

প্রীতমের সঙ্গে হলে বাকি যে তিনজন কাজ করছিলেন তাদের একজন মো. লিংকন বলেন, কাজ করার সময় তার সঙ্গে ফোনে কথা হয় প্রীতমের। পরে তাকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। পরে ছাদের যে অংশে কাজ করছিল সে অংশে গিয়ে কল দিলে ভবনের নিচে প্রীতমের মুঠোফোনের রিংটন বাজতে থাকে। পরে তারা নিচে গিয়ে দেখেন তিনি মাটিতে পরে আছেন।

এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘স্পটে (ঘটনাস্থলে) দুবার গিয়ে ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে যেটা ধারণা করছি সেটা হলো, হলের ছাদের চিলেকোঠার অংশের কার্নিশ ধরে ওপরে উঠতে গিয়ে হয়ত সে পড়ে গেছে। কারণ আমরা কার্নিশের ইট ভাঙা পেয়েছি।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর