বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৩ শহরের তালিকায় আজও প্রথম স্থানে রাজধানী ঢাকা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ২৫৩। এ স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। রোববারও ঢাকার বাতাস খুব অস্বাস্থ্যকর ছিল।
সোমবার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মিয়ানমারের ইয়ানগুন, এই শহরের স্কোর ২১০। তালিকায় ১৮৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। এছাড়া চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বসনিয়া হার্জেগোভিনা, যার স্কোর ১৮৪ আর একই স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় বা মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।