সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন

সুবর্ণচরে পুড়ল ১৮ দোকান, ক্ষতি প্রায় ২০ কোটি..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২৭ বার পঠিত হয়েছে
আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের অংশ বিশেষ। ছবি : Max tv bd

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ ভূঞারহাট বাজারে ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। উপজেলার প্রধান কয়েকটি বাণিজ্যকেন্দ্রের চরমজিদ ভূঞারহাট বাজার অন্যতম।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক পৌনে ৩টার দিকে ভূঞারহাট বাজার জিরো পয়েন্ট, দক্ষিণ বাজার এমপি মার্কেট সংলগ্ন এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাজার পাহারাদার জয়নাল জানান, রাতে জিরো পয়েন্ট কাইয়ুম মোটর অ্যান্ড পার্টসের দোকানে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয় লোকজন। এ সময় স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে ছুটে এলেও আগুন দ্রুত পুরো দক্ষিণের দোকানগুলোর দিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

কিন্তু এর আগেই আগুনে মার্কেটের মোটরসাইকেল গ্যারেজ, মুদি গোডাউন, ওষুধের দোকান, যমুনা ইলেকট্রিকের অস্থায়ী গুদাম, মা জননী ইলেকট্রনিকসসহ অন্তত ১৮টি দোকান পুড়ে যায়।

এতে দোকানগুলোতে থাকা মূল্যবান মালামাল ও নগদ টাকা পুড়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। ব্যবসায়ীদের দাবি তারা প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

আগুনে পুড়ে যাওয়া কাইয়ুম মোটর অ্যান্ড পার্টসের স্বত্বাধিকারী মো. ইমাম উদ্দিন জনি বলেন, আগামীকাল সকালে আমি কয়েকটি কোম্পানির মালের পণ্যের জন্যে ব্যাংকে টিটি করতে দোকানে নগদ ২৪ লাখ টাকা ক্যাশ রেখেছি। হঠাৎ খবর পেলাম আগুন লেগেছে। দোকানের সামনে গিয়ে দেখি আমার সব পুড়ে ছাই। সুবর্ণচরের দক্ষিণ অঞ্চলে আমার মোটরপার্টস্ দোকানটি বৃহত্তর। আমার দোকানে প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের মালামাল ভর্তি ছিল। আমি পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে থাকি। এ ঘটনায় আমি শেষ হয়ে গেলাম।

অগ্নিকাণ্ডে মা জননী ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড পার্টস দোকানের মালিক কাজল বলেন, এখানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পাইকারি ও খুচরা মালামাল বিক্রি করে। অনেকগুলো দোকান পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের কোটি কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার মো. নুরুন্নবী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নেভানোর জন্য ঘটনাস্থলে চলে আসে এবং কাজ শুরু করে। পরে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের জানামতে অগ্নিকাণ্ডে ১৭টি দোকান পুড়েছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের সূত্রপাত হওয়ার কারণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর