সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

পাংশায় যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধের জেরে বিএনপি নেতাকর্মীদের তাণ্ডব..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩০ বার পঠিত হয়েছে
মামলার আসামি সন্ত্রাসী সজলের বসতঘরের ভাঙচুর। ছবি : Max tv bd

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামে যুবদল কর্মীকে গুলি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। ফলে আতঙ্কে রাত কাটছে গ্রামবাসীর। এ ছাড়া কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছ। আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন অনেক পরিবার। সাধারণ মানুষের আতঙ্ক দূর করতে কাজ করছেন প্রশাসন ।

স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পাংশা উপজেলা যুবদল নেতা ও জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ফরহাদ হোসেন সোহাগের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এনে নেতৃত্ব দেন সজলসহ বেশে কয়েকজন। সেই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের জাগির কয়া নতুন বাজার এলাকায় ইউনিয়ন যুবদলের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে ফেরার পথে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম আরিফের মোটরসাইকেল বহরে হামলা ও গুলি করার ঘটনা ঘটে। এ সময় মো. মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবদলকর্মী গুলিবিদ্ধ হয় বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়রা বলছেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএন‌পির সা‌বেক সভাপ‌তি জ‌হিরুল আলম মুরাদ বিশ্বাস ও জাকির মেম্বারের নেতৃত্বে গোলাবাড়ী বনগ্রামের কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। মাইকে প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।এরপর থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ইউপি সদস্য ও যুবদল নেতা মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে তার দাবি, আমাদের এলাকাটা খুবই শান্ত ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় থাকা এ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সজল, কালু, শাজাহানসহ বেশ কয়েকজন পুনরায় এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেককে রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। মামলায় ৪ নং আসামি করা হয় ইমন হাসান রনিকে। তিনি বলেন, এই ঘটনায় তার নামে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তার অভিযোগ, বিএনপির নামধারী স্থানীয় কিছু দখলবাজ তার লিজ নেওয়া পুকুর দখল করে মাছ ছাড়ে। তার প্রতিবাদ করায় মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।

পাংশা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিএনপির মধ্যে দুই গ্রুপ রয়েছে। একটি সাবেক সংসদ সদস্য মো. নাসিরুল হক সাবু গ্রুপ। আর একটি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন-অর রশিদ (হারুন) গ্রুপ। আমাদের কোনো সমস্যা নেই। বিএনপির সাবু গ্রুপ ও আওয়ামী লীগের সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের ছেলে মিতুল হাকিমের সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

উপজেলা যুবদলে আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, গত শুক্রবার পাট্টার একটি প্রতিবাদ সভা থেকে ফেরার সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছি।

পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন Max tv bdকে বলেন, যুবদল নেতাকে গুলি করার ঘটনায় আহত মনিরুল ইসলামের ভাই আকবর বিশ্বাস বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সজলসহ নয়জনের নাম উল্লেখ ও ৪-৫ জন অজ্ঞাত আসামি করে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। এ ছাড়া এলাকার সাধারণ মানুষের আতঙ্ক দূরীকরণে পুলিশ তৎপর রয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর