রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৪ অপরাহ্ন

১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস কারাগারে

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২৭ বার পঠিত হয়েছে
সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

তিনি বলেন, লতিফ বিশ্বাসকে এনায়েতপুরে পুলিশ হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের দুবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।

এর আগে রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লতিফ বিশ্বাসকে আটক করে যৌথবাহিনী। আটকের পর তাকে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে সেনাক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

সেনাবাহিনীর সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ আল-আমীন বলেন, যৌথ অভিযানে লতিফ বিশ্বাসকে আটক করে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অতীতে অস্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থায় তার ভূমিকা কি ছিল, ৫ আগস্টের আগে তার ভূমিকা কেমন ছিল সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, ৫ আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে লতিফ বিশ্বাস নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। তার নির্বাচনী এলাকায় হত্যাসহ একাধিক মামলা থাকলেও কোনো মামলাতেই তাকে আসামি করা হয়নি। এ কারণে তিনি এলাকাতেই অবস্থান করছিলেন। গত শনিবার রাতে তিনি এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলীর বার্ষিক ওরস মাহফিলে যোগ দিতে গেলে কিছু লোক তার গাড়ি আটকে দেয়। দরবার শরীফের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

বেলকুচি থানার ওসি জাকারিয়া হোসেন বলেন, লতিফ বিশ্বাসরে বিরুদ্ধে কোনো থানায় মামলা ছিল না।

আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে রয়েছেন। তিনি দুবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, দুবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুবার সংসদ সদস্য এবং দুবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর