শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

বেড়েছে সবজির সরবরাহ, কমেছে দাম

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৯ বার পঠিত হয়েছে
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ক্রেতার অপেক্ষায় সবজির পসরা সাজিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ী। ছবি ; max tv bd

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভাসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে দাম কমে এসেছে শীতকালীন সবজির। ফলন ভালো হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে। প্রতি কেজি সবজি মিলছে ১০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। সবজির দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

ফুলবাড়ী পৌর সবজি বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানান, এ বছর সবজির ফলন ভালো হয়েছে। সরবরাহ বাড়ায় দামও কমেছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) ফুলবাড়ী পৌরশহরের সবজি বাজার সরেজমিনে ঘুরে মিলছে এমন চিত্র।

গত কয়েক দিন ধরে বাজারগুলোতে শীতকালীন লালশাক, পালংশাক, পেঁয়াজশাক, ধনিয়া পাতা, লাউ, লাউশাক, কুমড়াশাক, বরবটি, গাজর, টমেটো, শালগম, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, কাঁচামরিচ, বেগুন, করল্লা, মিষ্টিকুমড়ার সরবরাহ বেড়েছে।

সবজির মধ্যে প্রতি পিস বাঁধাকপি আকার ভেদে ৭-৮ টাকা ও ফুলকপি আকার ভেদে ৫-৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগেও এর দাম ছিল ১৫ থেকে ২৫ টাকা।

ভিন্ন ধরনের বেগুন ১০ টাকা ও শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে। মুলা ১০ আর মিষ্টিকুমড়া মানভেদে ১৫-২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শশা প্রতি কেজি মানভেদে ১৫-১৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এ ছাড়া কাঁচামরিচের দাম ৮০ থেকে কমে ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। গাজর ৩০-৪৫ টাকা এবং টমেটো ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়।

বেড়েছে সবজির সরবরাহ, কমেছে দাম

বাজারে সবজি কিনতে আসা মহিদুল ইসলাম মাজু বলেন, ‘শীতকালে সবজির দাম প্রতি বছরই কমে। এ বছর আরও সহজলভ্য হয়েছে। এখন ১০০ টাকার বাজার করলেই ব্যাগ ভরে যাচ্ছে। আগে ৩০০-৪০০ টাকার বাজার করলেও এতগুলো পাওয়া যেত না। সব সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।’

পৌর বাজারে সবজি বিক্রেতা শাহ জামাল বলেন, এ বছর শীতের সবজির ফলন ভালো হয়েছে। আমরাও কম দামে কৃষকদের থেকে নিতে পারছি। এর ফলে অল্প লাভ করেই বিক্রি করতে পারছি। সবজির দাম আরও কমতে পারে।

ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের ভিমলপুর গ্রামের সবজি চাষি ওবায়দুল ইসলাম বলেন, তিন বিঘা জমিতে শীতকালীন ফসল বাঁধাকপি, ফুলকপি, শসা, টমেটো, লাউ ও শাকসবজির আবাদ করা হয়েছে। এ বছর গত বছরের তুলনায় ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম কমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, ‘উপজেলায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাকসবজির চাষ করেছে। এতে ফলন ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ২৪ দশমিক ৫ টন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪২ হাজার ৮৭৫ টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর