বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে কবরে পাঠিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেরাই কবরে ঢুকে গেছে। মাইক্রোস্কোপ দিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের অপরাজনীতির কবর রচিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথ কর্মি ভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ও হাসিনা সরকারের ফরমায়েশি সাজা বাতিল না হওয়ায় জনগণ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত উল্লেখ করে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স অবিলম্বে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ওইসব মামলা-সাজাসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন।
কর্মী সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স নেতাকর্মীদের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে সুকৌশলে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি কচুরিপানার মতো ভেসে আসেনি। বিএনপির শিকড় মাটির অনেক গভীরে, জনগণের হৃদয়ের মণিকোঠায় বিএনপির অবস্থান। ইচ্ছে করলেই ফুঁ দিয়ে বিএনপিকে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
নেতাকর্মীদের প্রতি দ্রুত নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনে আবারও রাজপথে থাকার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের রায় নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে তারেক রহমানের ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ গড়ে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের ঋণ পরিশোধ করা হবে।
তিনি বলেন, জনগণের রায়ে ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপি বিজয়ী হলে এবং বিএনপি সরকার গঠন করলে পল্লি রেশন, বিনামূল্যে চিকিৎসা-ঔষধ, বেকার ভাতা, কর্মসংস্থান এবং ধোবাউড়ায় পৌরসভা, কলকারখানা স্থাপন, ঘোষগাঁও সীমান্তে স্থল বন্দর, সীমান্ত হাট, ভেঙে যাওয়া রাস্তা পুনর্নির্মাণ, গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণ, মাসজিদ, মাদ্রাসা, গির্জা, মন্দির উন্নয়ন, গারো-হাজং জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ার আদিবাসীদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের পরিচিতি, গৌরবোজ্জ্বল যুদ্ধ ও সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে পৃথক জাদুঘর ও বই প্রকাশ করা হবে।
ঘোষগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শাজাহানের সভাপতিত্বে ঘোষগাঁও বাজারে অনুষ্ঠিত কর্মিসভায় অন্যদের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ মফিজ উদ্দিন, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, ফরহাদ রাব্বানী সুমন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ আল রাজি, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন, ইউনিয়ন যুবদল নেতা আজহারুল ইসলাম, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহরিয়ার আকন্দ শাওন বক্তব্য দেন।