শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

মৃত্যুর কাছে হার মানলেন অ্যাসিডদগ্ধ মিলি

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৩ বার পঠিত হয়েছে
গৃহবধূ মিলি আক্তার। ছবি : সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সাবেক প্রেমিকের ছোড়া অ্যাসিডে দগ্ধ হয়ে ১০ মাস চিকিৎসাধীন থেকে গৃহবধূ মিলি আক্তার মারা গেছেন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, পশ্চিম সুজাতপুর গ্রামের আয়ুব আলীর মেয়ে মিলি আক্তারের সঙ্গে মমরুজকান্দি গ্রামের সফিকুল ইসলাম মানিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মিলি আক্তারের অন্যত্র বিয়ের হয়ে গেলেও মানিক তাকে ভুলতে পারেনি। এদিকে বিয়ের পর মিলির স্বামী বিদেশ থাকায় বাপের বাড়িতে থাকত মিলি।

চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় সফিকুল ইসলাম মানিক ও জাহিদ অ্যাসিড ছোড়ে মিলির ওপর। এতে মিলির মুখ, বুক, পিঠ ও হাত ঝলসে যায় এবং মা রাশেদা বেগমের হাত ও উরু ঝলসে যায়। পরে তাদের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠায়। পরে সেখান থেকে পিজিতে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় মিলির বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে সফিকুল ইসলাম মানিক ও জাহিদকে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় মামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আসামিরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন এবং অ্যাসিড নিক্ষেপ করার সত্যতা স্বীকার করেন।

মিলি আক্তারের বাবা আইয়ুব আলী বলেন, যারা আমার মেয়ে মিলি আক্তারকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে মেরে ফেলেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।

মতলব উত্তর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান Max tv bdকে বলেন, অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী শফিকুল ইসলাম মানিক এবং তার সহযোগী অ্যাসিড নিক্ষেপকারী জাহিদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা দুজনই চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত ১১টার দিকে উপজেলার সুজাতপুর এলাকায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া অ্যাসিডদগ্ধ হন গৃহবধূ মিলি ও তার মা রাশেদা বেগম। মিলি আক্তারের একটি সাত মাসের ছেলে সন্তান রয়েছে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর