জয়পুরহাটে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর প্রকার ভেদে পাইকারিতে দাম কমেছে প্রতিমণে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। আর কেজিতে কমেছে ২০-২৫ টাকা। শীতের সবজির দাম কমায় ভোক্তারা স্বস্তিতে থাকলেও কৃষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা আকাশচুম্বী লাভ কখনোই চান না। উৎপাদন খরচ বাদে কিছু লাভ হলেই তারা খুশি। হঠাৎ করে যেভাবে দাম কমতে শুরু করেছে তাতে শীতকালীন সবজি চাষ করে তাদের লোকসানে পড়তে হবে।
গত এক সপ্তাহ আগে জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট, জামালগজ্ঞ. আক্কেলপুর বাজার, দূর্গাদহ বাজারে প্রতিমণ (৪০ কেজি) আলু বিক্রি হয়েছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জামালগঞ্জ চারমাথা বাজার ও নতুনহাটে প্রতিমণ আলু বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজি জাতীয় পণ্যের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ২০-২৫ টাকা। এতে করে নিম্ন আয়ের সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। ১৫ দিন আগেও তাদের আলু কিনতে হয়েছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে।
ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আফজাল হোসেন ও আমিড়া গ্রামের কৃষক হাফিজার রহমান Max tv bdকে বলেন, যেভাবে আলু, পেঁয়াজসহ সবজির দাম কমেছে। এর থেকে আরও দাম কমলে লোকসানে পড়তে হবে কৃষককে। সিন্ডিকেড ব্যবসায়ীরা ৪০ কেজি আলু বীজের দাম নিয়েছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। পেঁয়াজ বীজ কিনতে হয়েছে প্রতিমণ ১৪-১৬ হাজার টাকা। রাসায়নিক সার, দিন মজুরের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে খুব বেশি। কষ্ট করে আবাদ করে একটু লাভ না হলে কৃষক বাঁচবে কি করে।
আফজাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ১৪ হাজার টাকা মণ দরে (৪০ কেজি) পেঁয়াজ বীজ কিনেছিলাম। এক বিঘা জমিতে সাড়ে ৩ মণ থেকে ৪ মণ পেঁয়াজ বীজ লাগে। মজুরি সার দিয়ে বিঘা প্রতি খরচ ৬০-৭০ হাজার টাকা। বাজারে পেঁয়াজ প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। এক বিঘা জমিতে ফলন হয় ৬০-৭০ মণ। দাম আরও কমলে পেঁয়াজ চাষে লোকসান হবে।
শহরের সবজি বিক্রেতা বাবু মিয়া, রবিউল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে শীতের সবজির আমদানি বেড়েছে। এ জন্য দাম কমতে শুরু করেছে। দাম আরও কমতে পারে। তারা কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারি দামে কিনে সামান্য লাভে খুচরা দরে বিক্রি করেন। অনেক সময় সব সবজি বিক্রি করা সম্ভব হয় না। সেগুলো নষ্ট হলে গরু ছাগলকে খাওয়াতে হয়।