মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের সংঘর্ষে বাবা ছেলেসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুরো এলাকাই পুরুষশূন্য। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে দোষীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নিহতদের বাড়ি ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দল মাবুদ। সেখানে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় পুলিশের এ কর্মকর্তা ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন।
এদিকে শুক্রবার সকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্থানী ও নিহতের পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও একই ইউনিয়নের মেম্বার আক্তার শিকদারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই এ তিনজন খুন হয়েছে। শুক্রবার ভোরে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানেও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার সন্ধ্যায় নিহতদের মরদেহ দাফন করা হয়। বাজার-ঘাটে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ছে পুরো এলাকা।
নিহত আতাউর রহমান ওরফে আক্তার শিকদারের বাবা মতি শিকদার বলেন, আমাদের বাড়িঘর কয়েকদিন আগে সুমন চেয়ারম্যানের লোকজন লুটপাট করে পুড়ে দেয়, আর সেই পোড়াবাড়ি দেখতে ঢাকা থেকে আসছিল আক্তার আর আমার নাতি মারুফ। তাদের ওপর হামলা করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সুমন ও তার লোকজন। আমার আর কোনো ছেলেও নাই, নাতিও নাই। আমার পুরো বংশ শেষ করে দিল। আমি এদের বিচার চাই।
মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান Max tv bdকে বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হামলা এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।