চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালে নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের একটি সারবাহী জাহাজে ডাকাতের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। হতাহত সবারই পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে নৌ-পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আব্দুস সবুর Max tv bdকে নিশ্চিত করেছে।
মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার মন্ডল গাতি পোস্ট অফিসের চর বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা আনিছ মিয়ার ছেলে মো. মাজেদুল ইসলাম মজিব (১৮)। একই জেলার পলাশ বাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা দাউদ হোসেনের ছেলে মো. সজিবুল ইসলাম (২৯)। এ ছাড়া আহত জুয়েল ফরিদপুরের বাসিন্দা।
এদিকে সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম-সচিবকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিকে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও দায়দায়িত্ব নিরূপণ, অনুরূপ ঘটনারোধে ভবিষ্যতে করণীয় নির্ধারণ করে সুস্পষ্ট সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাহাজে আটজন নয় বরং ৯ জন থাকার খবর পাচ্ছি। ইতোমধ্যে আরও নানা তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে আসছে। এটা প্রথম দিকে ডাকাতি মনে হলেও এখন এটা পরিকল্পিত ঠান্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড ধরেই আমরা আগাচ্ছি। নৌ-পথে অস্থিরতা তৈরি করতেই এমনটি করা হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছি। সকাল ১১টায় ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসবে। এরপরই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।