সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৩ অপরাহ্ন

২৫০ মণ ধান লুটের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৮ বার পঠিত হয়েছে
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন লুমা রাখাইন। ছবি : Max tv bd

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় লুমা রাখাইন নামের এক নারীর প্রায় ২৫০ মণ ধান লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা মো. আলী আক্কাসের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় বিচার চেয়ে কুয়াকাটা প্রেস ক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী লুমা।

অভিযুক্ত মো. আলী আক্কাস মহিপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লুমা রাখাইন বলেন, আমার বাবার কাছ থেকে পাওয়া এবং আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কেনা ৭ দশমিক ১৮ একর সম্পত্তি আমি আজীবন ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ ২০২২ সালে যুবদল নেতার পরামর্শে আমার ভাইয়ের দ্বারা সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে ৫ আগস্টের পরে এই ভূমিদস্যুরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আচমকা গত ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে আমার জমিতে আমার বর্গাচাষি ধান কাটা শুরু করলে ওই আলী আক্কাস ৩০-৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল নিয়ে এসে লাঠিসোঁটা আর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ধাওয়া দিয়ে সব জমির ধান লুট করে নিয়ে যায়। এসব জমিতে ২৫০ মণ মতো ধান হতো।

লুমা রাখাইন আরও বলেন, আমার বাবা মংচিং কবিরাজ জীবিত থাকাকালে পুরো সম্পত্তি স্থানীয় মংফরম তালুকদারের কাছে মৌখিকভাবে বিক্রি করে। তবে রেজিস্ট্রি দলিল হওয়ার আগে আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। পরে আমি বাবার নেওয়া পুরো টাকা মংফরম তালুকদার ফেরত দিয়ে পুরো সম্পত্তি ফেরত আনি। এই বিষয়টি কলাপাড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে এভিডেভিট করে নিয়ে আসি ২০০৪ সালে। পরে এই সম্পতির বিএস আমার নামে এবং খাজনা দিয়ে আসছি নিয়মিত। আমার আপন ভাই এমংচি ওরফে ইয়াইমংচিং প্রায় ৪৫ বছর বারমা ছিল। পরে ২০১০ সালে সে দেশে ফিরে এসে তার ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি দাবি করলে আমি তার পাওনা ২ দশমিক ৪০ একর সম্পত্তি ফেরত দিই। পরে আবার আমার ভাই তার সেই ২ দশমিক ৪০ একর সম্পত্তি আমার কাছে বিক্রি করে।

এতদিন আমি এই পুরো সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছি। এর আগে যুবদল নেতা আক্কাস আলীর ছেলে রাব্বি হাং, ফিরোজ হাং, জাফর হাং, মো. কাদের, মো. জলিল মোল্লাসহ অনেকে এই জমির ধান লুট করার চেষ্টা করেন। তখন আমি বিষয়টা আমি কুয়াকাটা পৌর বিএনপি এবং লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছে জানালে তারা কাগজপত্র দেখে আক্কাসকে জমির কাছে যেতে নিষেধ করে। এর পরও তিনি আমার ধান লুট করে নিলেন।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা আলী আক্কাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিএনপির লোকজন ষড়যন্ত্র করছে। আমরা কখনো এই সম্পত্তি ভোগদখল করিনি। আর ধান লুটের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

মহিপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সিদ্দিক মোল্লা বলেন, আমি বিষয়টি এখনো জানি না। তবে এ অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে সাংগঠনিকভাবে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব। সন্ত্রাস বা লুটকারীদের জায়গা দলে নেই।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর