টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর রাত থেকে দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে।
আহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা আব্দুর রউফ (৫৫), ময়মনসিংহের মজিবুর রহমান (৫৮), আব্দুল হান্নান (৬০), টঙ্গীর জহুরুল ইসলাম (৩৮), গোপালগঞ্জের আরিফ (৩৪), সাভারের ফয়সাল (২৮), নরসিংদীর তরিকুল (৪২), চট্টগ্রামের সাহেদ (৪৪), নরসিংদীর উকিল মিয়া (৫৮), টঙ্গীর পান্ত (৫৫), খোরশেদ আলম (৫০), কেরানীগঞ্জের বেলাল (৩৪), নারায়ণগঞ্জের আনোয়ার (৫০), আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), সাভারের আনোয়ার (২৬), নোয়াখালীর আনোয়ার (৭৬) ও সাতক্ষীরার ফোরকান আহমেদ (৩৫)। আহত বাকিদের নাম জানা যায়নি।
মাওলানা যোবায়েরপন্থি তাবলিগ জামাত (শুয়ারী নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মাওলানা যোবায়েরকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে জানানো হয়, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দুপুর ১২টায় আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসবেন এবং বিশ্ব ইজতেমা মাঠের বিষয়ে সুন্দর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। ভোর রাত ৩টার দিকে আমরা খবর পাই সারা দেশ থেকে সাদপন্থি মুসল্লিরা টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশে বেলাল মসজিদে অবস্থান করছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের নতুন, পুরাতন সাথী জমা করে ধারালো অস্ত্রসহ তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন সড়ক দিয়ে ময়দানের বিদেশি গেট ভেঙে ময়দানের ভেতরে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় ময়দানের ভেতর থেকে যোবায়েরপন্থি মুসল্লিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সাদপন্থিরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সাদপন্থীদের প্রভাবশালী মুরুব্বি মুয়াজ বিন নূর এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমরা এখন ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণে আছি। যোবায়েরপন্থিদের আক্রমণে আমাদের এক ভাই শহীদ হয়েছেন।
এদিকে ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ফলে হতাহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি হাবিব ইস্কান্দার Max tv bd কে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের সংঘর্ষে হয়েছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। তাদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে।