গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জ ধাঁধার চর থেকে নাশকতার অভিযোগে ১২ আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া আটক অন্যরা হলেন, কামারগাঁও গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্লার ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রহিম মোল্লা (৪৬), ছানাউল্লাহর ছেলে ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য রাশিদুল আলম (৪৪), দবির মাস্টারের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা শরিফ (৪১), পার্শ্ববর্তী লাখপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে দুলাল মিয়া (২২), শালদৈ গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সদস্য লোকমান মোল্লা (৪২), আইন উদ্দিনের ছেলে জিহাদ (২৪)।
দূর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোলায়মান মোল্লা বাদী হয়ে নাশকতার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিলে হামলা ও নির্যাতনের ভিডিও চিত্র ধারণ করার পরিকল্পনা করে। পরে সেগুলো আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
কাপাসিয়া থানার ওসি মো. কামাল হোসেন Max tv bd কে বলেন, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রানীগঞ্জ ও তারাগঞ্জ এলাকায় নদীতে জেগে উঠা ধাঁধার চর থেকে নাশকতার অভিযোগে ১২ জনকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।