কোটা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশকে আলটিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শহীদ আবু সাঈদ হত্যার বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর সদস্য সচিব রহমত আলী বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যায় জড়িতদের পুলিশ সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে সংগ্রামী ছাত্র-জনতা রংপুরে পুলিশকে মেনে নেবে না। এ হত্যাকাণ্ডে পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে রংপুরের মাটিতে কোনো পুলিশের জায়গা হবে না। তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুগতরা পুলিশ প্রশাসনে বহাল থাকায় আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা মদদ দিয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০ থেকে ৩৫ জনের অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা করে সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেরোবির সাবেক ভিসি হাসিবুর রশিদ,সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ সাতজনের নাম মামলায় নথিভুক্ত করার জন্য সম্পূরক এজাহার করেন তিনি। আদালতের আদেশে তাদেরও ওই মামলায় নামীয় এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এ মামলায় রংপুর মহানগর পুলিশের এএসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।