দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। কিংস্টনের ২২ গজে বল হাতে আগুনের গোলা ছুঁড়তে থাকেন ক্যারিবিয় পেসাররা। যদিও পরবর্তীতে টাইগাররা পেসাররাও পিচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আগুনে বোলিং করেন। যার ফলে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা ১৮ রান দূরে থাকতে ১৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। বল হাতে টাইগারদের হয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন পেসার নাহিদ রানা। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। কিংস্টনের ২২ গজে বল হাতে আগুনের গোলা ছুঁড়েন নাহিদ-তাসকিনরাও। তবে বেশ অ্যাগ্রেসিভ ছিলেন রানা। তিনি ঘণ্টায় ১৫০ কি. মি. বল ছুঁড়েন।
এদিকে এমন টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক অনন্য নজির গড়েছেন ক্যারিবিয় পেসার জেডেন সিলস। তিনি বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ১৫.৫ ওভার বোলিং করেন। ১০ মেডেন নিয়ে ৫ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। আর এতে করে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কৃপণতম বোলারের রেকর্ডটি নিজের করে নেন সিলস। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল ভারতের বোলার উমেশ যাদবের।
এই রেকর্ডটি গড়তে তিনি ওভার প্রতি খরচ করেছেন ০.৩১ রান। টেস্ট ম্যাচের এক ইনিংসে অন্তত ১০ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে ১৯৭৮ সাল থেকে সিলসই হলেন কৃপণতম। শুধু পেসারদের পারফরম্যান্স হিসেবে এক ইনিংসে অন্তত ১৫ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে তিনিই টেস্টের ইতিহাসে কৃপণতম।
ভারতীয় পেসার উমেশ যাদব ২০১৫ সালে দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওভার প্রতি খরচ করেছিলেন ০.৪২ রান। সেই ইনিংসে ২১ ওভার বল করে ৩টি উইকেটও তুলে নেন তিনি। অবশ্য সিলসের চেয়েও কৃপণ বোলিংয়ের নজির রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে ইনিংসে তিনি অন্তত ১৫ ওভার বল করেননি। ১৯২৮ সালে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ১৩ ওভারে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক পেসার বব ওয়ায়েট। সেই ইনিংসে তিনি ওভার প্রতি খরচ করেছিলেন ০.৩০ রান। একটুর জন্য এই বিশ্বরেকর্ডটি করতে ব্যর্থ হন সিলস।