কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আনিছুর রহমানের ইয়াবা সেবনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আনিছুরের দাবি, নির্বাচনের সময় রাত জেগে থাকার জন্য তিনি ওষুধ হিসেবে ইয়াবা সেবন করেছিলেন।
আনিছুর ওই উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। পুলিশ বলছে, ইউপি সদস্য মাদকসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন কি না সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেল থেকে আনিছুরের ইয়াবা সেবনের ছবিটি ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে মাদক সেবন করায় বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা চলছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন কেউ কেউ।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবির বিষয়ে আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি মাদকের সঙ্গে জড়িত নই। মাদক সেবনও করি না। ছবিটি তিন বছর আগের। নির্বাচনের সময় রাতে যেন ঘুম না আসে, এ জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাসহ দুজন মিলে আমাকে রাতে এটা (ইয়াবা) সেবন করিয়েছে। আমি ওষুধ হিসেবে সেবন করেছি। শুধু নির্বাচনের সময়ে রাতে যেন ঘুম না আসে সে জন্য।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘যারা আমাকে দিয়ে সেবন করিয়েছে, তাদের কেউ একজন ছবিটি তুলেছে। পরে ওই ছবি দিয়ে দুজন আমাকে ব্ল্যাকমেল করে ৩ লাখ ৬০ হাজার চাঁদা দাবি করে। আমার কাছে চাঁদা দাবির প্রমাণও রয়েছে। মূলত চাঁদা না দেয়ায় তারা ছবিটি ফেসবুক ছেড়ে দিয়েছে। যারা আমাকে ব্ল্যাকমেল করেছে, কুমিল্লা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। মাদকের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’
এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি অনেক আগের। কারও সঙ্গে মাদক না পাওয়া গেলে তারা ব্যবস্থা নিতে পারেন না। ওই ইউপি সদস্য মাদক-সংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছেন কি না, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে মাদক-সংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।