মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে লম্পট যুবক এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এতে ওই কলেজছাত্রী ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই ধর্ষক যুবক কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসীর চাপে পড়ে ওই ধর্ষক যুবক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ওই বিষয়টি এলাকায় ফাঁস হয়ে গেলে দিনভর নানা সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
এলাকা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের শিকবির বেপারীর ছেলে শাওন বেপারী (২৩) বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে বিভিন্নস্থানে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এতে ওই কলেছছাত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এক পর্যায় ধর্ষক যুবক শাওন কৌশলে মাদারীপুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ওই কলেজছাত্রীর গর্ভপাত করান। এতে করে ওই কলেজছাত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর পরিবার শাওনকে বিয়ে করতে বললে শাওন রাতের আধারে পরিবারসহ পালিয়ে যায়।
এদিকে শাওনের পরিবারের অনবরত হুমকির মুখে ভয়ে তখন মামলা করতে পারেনি ওই কলেজছাত্রী। পরে স্থানীয়দের চাঁপে গত শনিবার রাতে ধর্ষক শাওন ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। এ বিষয়টি সোমবার জানাজানি হলে পুরো এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর ভাই জানান, আমার বোনকে শাওন বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে। আমার বোন অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে কৌশলে গর্ভপাত করানো হয়। পরে শাওন পালিয়ে যায়। এক পর্যায় সে বিয়ে করতে বাধ্য হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ধর্ষণ করে শাওন পালিয়েছিল। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে বিয়ে করেছে।
৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনির খন্দকার বলেন, আমরা স্থানীয় লোকজন মিলে চাপ প্রয়োগ করে শাওনের সঙ্গে কলেজছাত্রীকে বিয়ে দিয়েছি। আমি মনে করি একটা ভালো কাজ করেছি।এ ব্যাপারে কলিকিনি থানার উপপরিদর্শক(এসআই) নয়ন জানান, আমরা ওই বিষয়টির ব্যাপারে অবগত নই। আর কেউ অভিযোগ করেনি।