রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন

জবির ভর্তিতে থাকছে ৫ ধরনের কোটা, আবেদন শুরু হলো আজ

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৪ বার পঠিত হয়েছে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ও বিবিএ ভর্তির আবেদনে ৫ ধরনের কোটা রয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ও বিবিএ ভর্তির আবেদনে ৫ ধরনের কোটা রেখে রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে প্রাথমিক ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে, আবেদন চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রাথমিক আবেদনে ফি ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। পরবর্তীতে ১৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর করতে হবে চূড়ান্ত আবেদন, সেখানে ফি লাগবে ৭০০ টাকা। পাঁচ ধরনের কোটার মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা প্রতিবন্ধী বা হরিজন ও দলিত কোটা রাখা হয়েছে ১ শতাংশ। এছাড়া পোষ্য, খেলোয়াড় এবং বিদেশি কোটা থাকলেও সেখানে শতাংশের হার উল্লেখ করা হয়নি। পোষ্য, খেলোয়াড় কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি বিভাগে দুইজনের অধিক ভর্তি করা হবে না। বিদেশি কোটায় উল্লেখ আছে বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। রোববার (১ ডিসেম্বর)  বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় কোটায় আবেদনকারীরা ৩০ নম্বর প্রাপ্ত হলে কোটায় ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে যোগ্য বিবেচিত হবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে ।

কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের থেকে চাওয়া হয়েছে লাল মুক্তিবার্তা/সরকারি গেজেটের ফটোকপি এবং  মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মূল সনদপত্র। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে জমা দিতে হবে জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মূল সনদপত্র এবং গোষ্ঠী প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট জাতিগত সনদ। হরিজন ও দলিত কোটার ক্ষেত্রে জমা দিতে হবে জেলা প্রশাসক বা উপজেলা চেয়ারম্যান বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ বা ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র। প্রতিবন্ধী কোটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র বা আইডি। খেলোয়াড় কোটায় ভর্তি হতে চাইলে লাগবে বিকেএসপি কর্তৃক প্রদত্ত এসএসসি অথবা এইচএসসি-এর মূল সনদপত্র।

এছাড়া পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র লাগবে। কোটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদনের সময় অবশ্যই কোটা উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে কোটায় অন্তর্ভুক্তির জন্য কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না। কোটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের দিন কোটা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।

এবছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ ইউনিটে লিখিতও বহুনির্বাচনি প্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ২৪ নম্বর থাকবে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, লিখিত পরীক্ষা হবে ৪৮ নম্বরের, এসএসসি বা সমমান থেকে ১২ ও এইচএসসি বা সমমান থেকে ১৬ নম্বর মিলে মোটা ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।  এ ইউনিটে (বিজ্ঞান ও লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) আবেদন করতে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ লাগবে ৮, বি  ইউনিটে (কলা ও আইন অনুষদ) পয়েন্ট লাগবে ৭, সি ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) পয়েন্ট  লাগবে ৭ দশমিক ৫। ডি ইউনিটে (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) পয়েন্ট  লাগবে ৭ এবং ই ইউনিটে (চারুকলা অনুষদ) আবেদন করতে  পয়েন্ট লাগবে ৬ দশমিক ৫।  এ, বি, সি, ডি ইউনিটের পরীক্ষা হবে এক ঘন্টা এবং ই ইউনিটের পরীক্ষা হবে দেড় ঘন্টা।

উল্লেখ্য, ই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩১ জানুয়ারি, ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৪ ফেব্রুয়ারি, বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি, এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২২ ফেব্রুয়ারি, সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা তিন শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট পাওয়া যাবে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর