সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

যেভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল যুবদল নেতা। প্রতিবেদক: রাশেদ সরকার, মিলন চৌধুরী

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬৬ বার পঠিত হয়েছে

যেভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল যুবদল নেতা।
প্রতিবেদক: রাশেদ সরকার, মিলন চৌধুরী

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র সমাজ জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আন্দোলন শুরু করে যা শেষ হয় এক দফা দাবি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ গত ৫ ই আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালানোর মধ্য দিয়ে। শুরুতে এই আন্দোলন ছাত্রদের ঢাকা আন্দোলন হলেও একপর্যায়ে এ আন্দোলন দেশের ছাত্রদের অভিভাবক, শিক্ষক, ডাক্তার, পেশাজীবী সহ দেশের বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নিয়ে আন্দোলনকে বৃহৎ আকার ধারণ করে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রাবাড়ীর কাজলা, সাইনবোর্ড, এবং চিটাগাং রোড স্থানগুলো আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে। প্রথম থেকেই সাইনবোর্ড বাস স্ট্যান্ড ছিল ছাত্রসহ আন্দোলনকারীদের দখলে, প্রতিদিন সকাল হলেই আস্তে আস্তে সাইনবোর্ডে আসতে শুরু করে ছাত্রদের সাথে নানা পেশাজীবীর মানুষ। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ সাদেকুর রহমান সাদেক ভাইয়ের আহবানে নারায়ণগঞ্জ যুবদলের নেতা কর্মীরা সাইনবোর্ড অঞ্চলে ব্যাপকভাবে অংশ নেয়, এবং তারাবো পৌর যুব দলের সভাপতি কাজী আহাদ এর নেতৃত্বে রূপগঞ্জের যুবদলের নেতা কর্মীরা অঞ্চলে সাইনবোর্ডে আন্দোলনে অংশ নেয়, প্রতিদিনের ন্যায় ১৯/০৭/২০২৪ইং শুক্রবার আন্দোলনে অংশ নেয় তারাবো, রূপগঞ্জবাসী কাজী আহাদের নেতৃত্বে, আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে পুলিশ বাহিনীর সাথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আন্দোলনকারীদের উপর ব্যাপক হামলা চালায় গুলিবিদ্ধ হয় অনেকে তার মধ্যে কাজী আহাদ ডানপায়ে গুলি বৃদ্ধ হয় এবং যুবদল কর্মী মোহাম্মদ জুয়েল পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। কাজী আহাদের সাথে একান্ত সাক্ষাতে তিনি বলেন, আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশ লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, এর হামলায় আমি পায়ে গুলি বিদ্ধ হই সহকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে ফিরে ধানমন্ডি স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হই। হাসপাতাল থেকে আমাকে রাত ২টায় অর্থাৎ ২০/০৭/২০২৪ইং পুলিশ গ্রেফতার করে তাদের গাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে তারা আমাকে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় এবং ক্রসফায়ার দেয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ি থেকে আমাকে তিনবার নামায় এবং উঠায় প্রতিবার বন্দুক তাক করে আমাকে ক্রসফায়ার দেয়ার উদ্দেশ্যে কিন্তু কি কারনে তারা আমাকে ক্রসফায়ার দেয় না, আমার পা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণে বিনা চিকিৎসায় আমি বারবার জ্ঞান হারাই, পরবর্তীতে আমাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়, ৫ ই আগস্ট হাসিনা পালানোর খবরে কাশিমপুর কারাগারে উৎসবের আমেজে মেতে ওঠে রাজনৈতিক কারাবন্দিরা। এবং অবশেষে গত ০৮/০৮/২০২৪ইং আমি ফালামুক্ত হয়ে পরিবারের কাছে রূপগঞ্জে ফিরে আসি। নিজের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত আছি।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর