প্রতারক স্বামীর হাতে সাইবার নির্যাতনের শিকার স্ত্রী । প্রতিবেদন মিলন চৌধুরী, আব্দুল হাকিম, দিপু ভূইয়া।স্বামী ও স্ত্রী সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক, সেই মধুর সম্পর্ক কিভাবে অবিশ্বাসী এবং তেতো সম্পর্ক হয় সেটা জানবো লাবনী আক্তারের কাছ থেকে, রাজধানীর সূত্রাপুরে লাবনী আক্তারের সাথে কথা বললে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় ছয়গাঁও গ্রামে জন্ম লাবনীর। জন্মের তিন বছরের মাথায় লাবনী আক্তার বাবা-মায়ের সাথে চলে আসে ঢাকায়। ঢাকার ১৪৫ আর এম দাস রোড সুত্রাপুরে বসবাস করতে থাকে লাবনী। পড়াশোনা এবং খেলাধুলার পাশাপাশি সুত্রাপুরে বেড়ে ওঠে লাবনী আক্তার। সূত্রাপুরে মোঃ সেন্টু মিয়ার সাথে ৩০-৫-২০০৮ ইং তারিখে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লাবনী আক্তার। এই সুখের সংসারে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় লাবনী ১০ -৫- ২০১৬ ইং তারিখে সেন্টু মিয়ার সাথে লাবনীর বিচ্ছেদ ঘটে। পাশাপাশি লাবনী একটি সমিতি অফিসের চাকরি করতো চাকরি কালীন সময় কাজের বিষয়ে পরিচয় হয় বাবুর সাথে ২০১০ইং সালে। লাবনীর ডিভোর্সের পর বাবুর বিভিন্ন প্রলোভনে বাবু লাবনীকে প্রেমের জালে ফাঁসায়। কিন্তু প্রতারক এই বাবু আগেই বিবাহিত ছিল সেই ঘরে তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে, তারপরও সে বিভিন্ন প্রলোভনে প্রথম স্ত্রী কে ডিভোর্স দেয়ার কথা বলে ২৬-০৩-২০১৮ইং তারিখে লাবনীকে বিয়ে করে, প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই, গোপনে চলতে থাকে তাকে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ,প্রথম স্ত্রী যখন জানতে পারে তার অনুমতি ছাড়া বাবু দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহন করেছে তখন প্রথম স্ত্রী মহল্লার মুরুব্বিদের নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী লাবনীকে তালাক দিতে বাধ্য করে বাবুকে, বাবু তাই তালাক দেয় লাবনীকে ৬-৩-২০২২ইং তারিখ। কিন্তু লাবণের পিছু ছাড়ে না বাবু ডিভোর্সের পরও লাবনীর সাথে দেখা করত নিয়মিতভাবে, লাবনীর আত্মীয়দের কাছে বাবু লাবনীকে আবার চায় প্রয়োজন এসে প্রথম স্ত্রী কে ডিভোর্স দিবে কিন্তু লাবনীকে বিবাহ করতে চায় বাবু।১৪-৯-২০২২ইং বাবু কোর্টের মাধ্যমে প্রথম স্ত্রী কে ডিভোর্স দেয় ।এবং ১৫/৯/২০২২ ইং তারিখে আবারো লাবনীকে বিয়ে করে বাবু এবং ১৬-৯-২০২২ ইং তারিখে আমেরিকা যায় বাবু। ৩০/১ /২০২৩ইং তারিখে বাংলাদেশে আসে বাবু আমেরিকা থাকতেই বাবু কানাডার ভিসা প্রস্তুত করে । ১৮/ ৯ /২০২৩ইং কানাডা চলে যায়। বিদেশে থাকা অবস্থায় সে তার স্ত্রী(লাবনীর)কাছ থেকে নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গিদের ছবি চাইতো এবং নগ্ন ছবি চাইতো । এক পর্যায়ে ছবি দেয় লাবনী। ছবি না দিলে কথা বলে না স্বামী বাবু মাসিক খরচের টাকা দেয় না। মাসে টাকার দেয়ার সময় হলে বিভিন্ন ধরনের নগ্ন ছবি চায় বাবু। একটা সময় লাবনী বাবুকে ছবি দিতে চায় না তখন সে লাবনীকে অনেক ভয় ভীতি দেখায় এবং ভাষা খারাপ করতে থাকে যখন বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখানোর পরও ছবি দেয় না তখন বাবু প্রথমত মাসে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় পরবর্তীতে তারপরও যখন ছবি দেয় না তখন বাবু তার বৈধ স্ত্রী লাবনীর ছবি দিয়ে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে এবং নগ্ন ছবি আপলোড করতে থাকে সেখানে বাবু তার স্ত্রী লাবনীর মোবাইল নাম্বার তার শালির মোবাইল নাম্বার তার মা সমতুল্য শাশুড়ির মোবাইল নাম্বার এবং লিখে যে সেক্স করলে আসো এবং এই ধরনের বিভিন্ন অসভন কথা লিখে ফেসবুকে ছাড়তে থাকে। এগুলো দেখে অর্থাৎ ফেসবুক দেখে কিছু জঘন্য মানুষ তো সমাজে থাকে তারা লাবনীকে ফোন দেয় এবং ওই ধরনের কাজের জন্য বলে এভাবে রাত দিন যন্ত্রণা ভোগ করছে লাবনী তার মা তার বোনসহ পুরো পরিবার। পরিবারের অনেকেই এই যন্ত্রণায় মানসিকভাবে আহত, লাবনী এই অভিযোগ করে বলে আমি বর্তমান ছাত্র সমাজ অন্তর্বর্তিকালীন সরকার প্রধান ডঃ ইউনুস এর কাছে এ ধরনের প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এরচাই এবং অতি দ্রুত শাস্তির আওতায় দেখতে চাই। প্রতিবেদক: মিলন চৌধুরী, আব্দুল হাকিম, দিপু ভূঁইয়া