ওয়ারীতে আইনজীবী বাবা-ছেলের অভিনব প্রতারণার শিকার- আল-মুসলিম গ্রুপ।
বিগত ২০১১ সালে ওয়ারী থানাধীন ১নং নবাব স্ট্রীটে ৯২.০৫ শতাংশ জমি কেনার জন্য সৈয়দ আজাহারুল কবীরের সঙ্গে আল-মুসলিম বিল্ডার্স লি: ১ বছর মেয়াদী বায়নানামা দলিল করেন। এ সময় বায়না বাবদ পে-অর্ডার এর মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু বায়নানামার শর্ত অনুয়ায়ী ১ বছরের মধ্যে জমির কাগজপত্র সৈয়দ আজাহারুল কবীর বুঝিয়ে দিতে পারেনি বলে জানান আল-মুসলিম গ্রুপ।
পরে বায়নার মেয়াদ আরো ১ বছর বাড়ানো হয়। এই সময়ে যে সকল কাগজপত্র দেওয়া হয় সবই ভূয়া বলে প্রমানিত হয়। প্রকৃত অর্থে ৯২.০৫ শতাংশ সম্পূর্ণ জমির মালিক সৈয়দ আজাহারুল কবীর নয়। পরে ২০১৬ সালে জমির প্রকৃত মালিকদের নিকট থেকে তাহাদের অবস্থানকৃত জমি আল-মুসলিম গ্রুপ স্বত্ব দখল বুজে নেয়। অন্য দিকে আজাহারুল কবীর বাকী জমির দখল বুঝায় দেননি।
এরপর আজাহারুল কবীর ও তার ছেলের বিরুদ্ধে প্রতারনা ও জালজালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন আল-মুসলিম গ্রুপ। মামলায় পুলিশ তাহাদের গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে তাহারা আল-মুসলিম গ্রুপের সাথে সমঝোতা করে জামিনে মুক্তি লাভ করে।
আল-মুসলিম গ্রুপের সাথে মানি মোকদ্দমা নং-৩১/২০১৬ এ বিগত ১২/০৫/২০২৪ ইং তারিখে সৈয়দ আজাহারুল কবীর ও মো: আব্দুল্লাহ্ আদালতে হাজির হয়ে সোলেনামা দাখিল করে সোলেমূলে ডিক্রির আবেদন করেন এবং মোকদ্দমাটি সোলেমূলে নিষ্পত্তি হয়।
উক্ত ১২/০৫/২০২৪ ইং তারিখে সোলেনামার শর্ত সাপেক্ষে সৈয়দ আজাহারুল কবীর ১১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা গ্রহন করিয়া সোলেনামায় স্বাক্ষর করত: সৈয়দ আজাহারুল কবীর তাহার দখলের অংশটুকু স্থাপনাসহ মো: আব্দুল্লাহ্ বরাবরে দখল বুঝিয়ে দিয়ে চলে যান এবং সম্পূর্ণ ৯২.০৫ শতাংশ ভূমির মধ্যে তাহার আর কোন দখল অবশিষ্ট নেই।
উল্লেখ্য যে ইতিপূর্বেও ১৬/০৮/২০১১ ইং তারিখে সৈয়দ আজাহারুল কবীর ১০ কোটি টাকা এবং ১২/০৫/২০২৪ ইং তারিখে ১১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা সর্বমোট ২১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন। আল-মুসলিম বিল্ডাস লি: এর স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে সৈয়দ আজাহারুল কবীর ও তার ছেলে সৈয়দ এজাজ কবীর ৭/৮/২০২৪ ইং তারিখে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আল-মুসলিম বিল্ডার্স লি: এর স্বত্ব দখলীয় ভূমিতে অবস্থানরত কোম্পানীর কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক, নিরাপত্তাকর্মী সহ অন্যান্যদেরকে মারধর করে জায়গা দখলের পায়তারা করেন বলে জানান আল-মুসলিম গ্রুপ।
আল-মুসলিম গ্রুপ এই প্রতারক সৈয়দ আজাহারুল কবীর এবং তার ছেলে সৈয়দ এজাজ কবীরের অবৈধ ভাবে জমি দখলের প্রচেস্টা ও প্রতারনার বিরুদ্ধে সুষ্ঠ বিচার এবং সরকার ও প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন।