ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক মালিকদের এক তরফা রায় – এ যেন পাকিস্তানের শাসনকেও হার মানায়
জামিল আহম্মেদ , পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ বাক স্বাধীনতা কেঁড়ে নিয়ে এক তরফা রায় ও সেই রায় কে বাস্তবায়ন করার লক্ষে এক পক্ষ কে চাপিয়ে দেওয়া রিতিমতো ব্যবসায় পরিণত হয়ে পত্নীতলা উপজেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির। এই অভিযোগ অনেক পুরানো। তবে এইবার মিললো তার সত্যতা।
পত্নীতলা উপজেলার নজিপুরে দীর্ঘদিন ১ বছর থেকে সুনামের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছিল সিটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান। শেয়ারে ব্যবসা হওয়ায় কিছুদিন পূর্ব থেকে চলছিল মনমালিন্য। অত্র প্রতিষ্ঠানের অন্যতম শেয়ার মালিক মোঃ হারুন অর রশিদ পত্নীতলা উপজেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি বরাবর হিসাব গরমিলসহ বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন অপর শেয়ার মালিক মোঃ মনিয়ার হোসেন মানির এর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার ৬ জানুয়ারী সমাধানের লক্ষে অত্র সমিতির পত্নীতলা উপজেলার সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমানের নেতৃত্ব আলোচনায় বসে। আলোচনার এক পর্যায়ে বাদী মোঃ হারুন অর রশিদ ও বিবাদী মোঃ মনিয়ার হোসেন মনির উভয়ে বলেন আমরা একক ভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে চাই। তাদের এমন প্রস্তাবের প্রক্ষিতে হারুণ অর রশিদ কে কোন প্রকার সুযোগ না দিয়েই মনিয়ার হোসেন মনির ুর পক্ষ নিয়ে এক প্রকার জোড় পূর্বক ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাদ্ধ করে মালিক সমিতির কতিপয় ব্যক্তি।
এবিষয়ে অত্র সমিতির অন্যতম সদস্য মোরশেদ আলম, নাজিম বাবু ও আব্দুল জলিল বলেন, হারুন কে প্রতিষ্ঠানটি ক্রয় করার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিলো।
ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, হাউজে সকলের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে পক্ষ নেবার কিছুই নেই।
বাদী হারুন অর রশিদ বলেন, আমি সকলের সামনে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তিনি ( মনিয়ার মনির ) পূর্বে যেভাবে অংশ কিনে নিয়েছিলেন আমিও সেই ভাবেই কিনতে চাই। কিন্তু তারা আমাকে সেই সুযোগ দেয়নি। তারা এক প্রকার আমাকে বাদ্ধই করেছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করতে।
জামিল আহম্মেদ
পত্নীতলা ( নওগাঁ ) প্রতিনিধিঃ
মোবাইল নাম্বারঃ ০১৫৮০-৭৬১৮৯৪